বাংলাদেশ সকাল
শুক্রবার , ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. কৃষি বার্তা
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. খোলা কলাম
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন বিধান
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাস
  14. বিনোদন
  15. বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

অদৃশ্য শক্তিতে পূর্ববর্তী বছর থেকেও প্রায় ৩৪ লাখ টাকা কমে কোলাহাট ইজারার ডাক 

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩ ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ

শহীদুল ইসলাম, বদলগাছী (নওগাঁ)॥ বাংলা ১৪২৯ সনের পয়লা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্য নওগাঁর বদলগাছীর কোলাহাটটি ৮৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকায় ইজারা হয়েছিল। এই টাকার সঙ্গে আরও ১০% আয়কর ও ১৫% ভ্যাট ( মূল্য সংযোজন কর) যোগ হয়ে হাটটির ইজারা মূল্য কোটি টাকার ওপর। অথচ সেই কোলাহাটটি এবার বাংলা ১৪৩০ সনে মাত্র ৫৬ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হচ্ছে। এই ভাগ্যবান ইজারাদার হচ্ছেন নওগাঁ জেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায়। কোলা হাটের যে তিন জন দরপত্র দাখিল করেছেন তার মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা বিমান কুমার রায়। গত বারের তুলনায় এবার প্রায় ৩৪ লাখ টাকা কমে তিনি হাটটি ইজারা পেতে যাচ্ছেন। এতে মোটা অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার । আবার ইজারার টাকা কমে যাওয়ায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদেরও হাটের টাকার বরাদ্দ কমে যাবে।

অভিযোগ রয়েছে, দরপত্র দাখিলের দিনে বাধা দেওয়া হয়েছিল। একারণে অন্যরা দরপত্র দাখিল করতে পারেনি। তিনজন ব্যক্তি যোগসাজশ করে দরপত্র দাখিল করেছিলেন। অন্যরা সবাই দরপত্র দাখিল করতে পারলে আয়কর ও ভ্যাট বাদে কোটি টাকার ওপরে হাটটি ইজারা হতো। সরকারি বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পুনরুদ্ধারে হাটটি ফের দরপত্র আহ্বানের দাবি উঠেছে।

এবার হাট-বাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে হাটটির সরকারি সম্ভাব্য ইজারা মূল্য ( আয়কর ও ভ্যাট ব্যতীত) ধরা হয়েছে ৫৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪০০ টাকা। শিডিউলের মূল্য ১২ হাজার ৮০০ টাকা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ছিল শিডিউল বিক্রির শেষ দিন। পরেরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি শিডিউল জমা দানের শেষ দিন ছিল। ওইদিন বিকেল তিনটায় শিডিউল বাক্স খোলা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শেষ দিন পর্যন্ত কোলা হাটের মোট ১২ টি শিডিউল বিক্রি হয়। এর মধ্যে পরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি ইউএনও কার্যালয়ে রক্ষিত বাক্সে তিনটি শিডিউল জমা পড়ে। নওগাঁ জেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায়, ৫৬ লাখ টাকা, আক্কেলপুরের ফেরদৌস হোসেন ৫৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ও মহাদেবপুরের এনামুল হক ৫১ লাখ টাকা দর হাঁকেন। বিমান কুমার রায় সর্বোচ্চ দরদাতা। তিনি সরকারি সম্ভাব্য দরের চেয়ে ১৩ হাজার ৬০০ টাকা বেশি দর দিয়েছেন।

গত ১৪২৯ সনে কোলা হাটের সরকারি সম্ভাব্য দর একই ছিল। ইজারায় প্রতিযোগিতা হওয়ায় ৮৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকায় হাটটি ইজারা হয়েছিল। হাটের ইজারা থেকে ২০% হারে কোলা ইউনিয়ন পরিষদ ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে।

ইজারাদার আবু সাঈদ বলেন, আমরা কোলা হাটটি প্রতিযোগিতা করে ৮৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছিলাম। এবারও কোলা হাটের শিডিউল কিনেছিলাম। আমাদের শিডিউল জমা দিতে দেওয়া হয়নি। আমরা এবার কোটি টাকার কাছাকাছি হাট ইজারার দর দিয়েছিলাম। ইজারা টাকা বাড়ে, কিন্তু কমে না। যদি দরপত্র বাতিল করে ফেয়ার ড্রপিং দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে কোটি টাকা ইজারা ডাক হবে।

শ্রীরামপুর হাটের শিডিউল কিনেছিলেন আক্কেলপুরের মোমিনুল ইসলাম। তিনি শামীম নামে এক প্রতিনিধিকে পাঠিয়ে শিডিউল জমা দিয়েছিলেন। শামীম বলেন, সেদিন কোলা হাট ও ভান্ডারপুর হাটের শিডিউল জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। অন্য হাটগুলোর শিডিউল জমা দিলে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি।

নওগাঁ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায় বলেন, আমি কোলা হাট ইজারার শিডিউল জমা দিয়েছি। আমি হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা। আমার সঙ্গে আরও পার্টনার আছে। কত টাকা দর দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মূহুর্তে আমার দরের কথা মনে হচ্ছে না।

কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুর ইসলাম স্বপন এই প্রতিনিধিকে বলেন, গতবারে কোলা হাটটি ৮৯ লাখ টাকায় ইজারা হয়েছিল। ২০% হারে ১৭ লাখ টাকা ইউনিয়ন পরিষদ বরাদ্দ পেয়েছিল। এবার যেহেতু ইজারার টাকা কমেছে। তাই ইউপির বরাদ্দের টাকার অংকও কমে যাবে।

বদলগাছী উপজেলার হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইউএনও আলপনা ইয়াসমিন বলেন, করোনাকালীন সময়ে কোলাহাট ইজারা হয়নি। একারণে সরকারি সম্ভাব্য গড় মূল্য কমে ৫৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪০০ টাকা হয়েছে। আগামী ১৪৩০ সনের জন্য পয়লা বৈশাখ থেকে নতুন করে হাটটি ইজারার আহ্বান করা হয়েছিল। কোলাহাটের তিনজন দরপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে বিমান কুমার রায় নামে একজন সর্বোচ্চ ৫৬ লাখ টাকা দর দিয়েছেন। এখন কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। গত বছরের চেয়ে কেন এবার ইজারার টাকা কমে গেল এমন প্রশ্নে ইউএনও বলেন, সরকারি সম্ভাব্য দরের চেয়ে বেশি দর রয়েছে।

বদলগাছী উপজেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী বলেন, করোনার পর ১৪২৯ সনে কোলা হাটটি সরকারি সম্ভাব্য দরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যে ইজারা হয়েছিল। এখন সবকিছুই স্বাভাবিক। অথচ হাটের ইজারা মূল্য কমেছে। এতেই অনুমান হচ্ছে যে যোগসাজশ করে হাটের দরপত্র দাখিল করা হয়েছে। তিনিসহ উপজেলার সচেতন মহল কোলাহাটের এই দরপত্র বাতিল করে পুনঃদরপত্র আহ্বানের জোর দাবি জানিয়েছেন।

সর্বশেষ - এক্সক্লুসিভ

আপনার জন্য নির্বাচিত

মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের শপথ গ্রহণ; ভাঙলো চট্টগ্রাম সমিতি

পেশাদারিত্বকে সমুন্নত রেখে সত্য প্রকাশে আপোষহীন ভূমিকা পালনের প্রতিশ্রুতি; সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের জরুরী সভায় বক্তারা

অপরাধ মিশনে নানাভাবে সমালোচিত জুয়েল আটক

কোটচাঁদপুরে সরিষা চাষে বাম্পার ফলন

ডুমুরিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রতাবর্তন দিবস অনুষ্ঠিত 

সীতাকুণ্ডে দূর্ঘটনায় হাসপাতালের হার্বাল চিকিৎসকের মৃত্যু

কক্সবাজার সৈকতে দেশীয়দের সমাগম থাকলে ও নেই ভিনদেশীয় পর্যটক 

সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে ধামইরহাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা

বরগুনায় জেলেকে লক্ষ্য করে স্মার্ট বাহিনীর গুলি

যশোরের মনিরামপুরে মর্জিনার পরকীয়া প্রেমে দুই পুরুষ, একজনের হাতে অপরজন খু’ ন