আবু সুফিয়ান পারভেজ, ভুরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)॥অনলাইনে জুয়ার খপ্পরে পড়ে সর্বহারা হচ্ছে সাধারণ মানুষ, পাচার হচ্ছে দেশের কোটি কোটি টাকা। মাঝে মাঝে প্রশাসন কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও তা পর্যাপ্ত নয় অভিমত সাধারণ জনগণ ও সমাজবিদদের।
মোবাইলে ফেসবুক চালু করলেই স্কিনে ভেসে উঠছে একাধিক অনলাইন জুয়ার পেজ। ফেসবুক আইডি, পেজ, গ্রুপ, ওয়েবসাইট ও মোবাইলভিত্তিক এনক্রিপ্টেড অ্যাপ দিয়ে চলছে এই জুয়ার সাইটগুলো। এতদিন বিদেশি আয়োজনে এসব জুয়ার সাইট চললেও এখন দেশিয় অনেক প্রতিষ্ঠান এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বিকাশ নগদ এর মাধ্যমে লেনদেন করতে পেরে অনেকেই খেলছেন তা ৷ গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষও বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা এসব জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। খোয়াচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা। অনেকে ধার-দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়ছেন। খেটে খওয়া মানুষ দিনের উপার্জনের পুরোটাই দিয়ে দিচ্ছেন এসব অনলাইন জুয়ায়। একশ টাকায় কখনো দশ হাজার টাকা পান এরকম নানা ধরনের ফাঁদে পড়ে হাড়াচ্ছেন তাদের শেষ সম্বল টুকুও ৷ সর্বহারা হয়ে কেউ হচ্ছেন পাগল আবার কেউ চলে যাচ্ছেন ঢাকা ৷আবার কেউ টাকার জন্য করে যাচ্ছেন নানা ধরনের অপরাধ মুলক কাজ ৷ সব কিছু হারিয়ে আবার কেউ হচ্ছেন মাদকে আসক্তি ৷
ভুক্তভোগী একজন বলেন, আমার একটা দোকান ছিলো দোকানের সকল টাকা আমি জুয়া খেলে শেষ করেছি ৷ তারপড় ব্রাক এনজিও থেকে টাকা লোন নিয়ে খেলেছি ৷ মাঝে অনেক টাকা লাভ করে ছিলাম শেষে আবার সকল টাকাই চলে যায় শেষ সম্বল দোকানটি বিক্রি করে দিয়েছি এখন আমি নিঃস্ব, কি করবো তাও ভেবে পাচ্ছি না ৷ এভাবেই গ্রাম ও শহর থেকে দিনে কোটি কোটি টাকা চলে যাচ্ছে বিদেশে ৷
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা সেল সুত্রে যানা যায়’ এর নিয়মিত নজরদারির অংশ হিসেবে সম্প্রতি ৩৩১টি জুয়ার সাইট দেশের অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখনো অনেক সাইড চালু আছে এসব সাইড বন্ধ না হলে এক সময় মানুষ বড় বড় অপরাধে জড়িয়ে পরবেন৷