বাংলাদেশ সকাল
শনিবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. এক্সক্লুসিভ
  7. কৃষি বার্তা
  8. ক্যাম্পাস
  9. খেলাধুলা
  10. খোলা কলাম
  11. জাতীয়
  12. তথ্য ও প্রযুক্তি
  13. ধর্ম ও জীবন বিধান
  14. নির্বাচন
  15. প্রবাস

অভিনব কৌশলে গুইমারায় ভূমিহীনদের খোঁজে ইউএনও

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩ ১:০৩ অপরাহ্ণ

এ এম ফাহাদ, খাগড়াছড়ি॥ ভূমিহীনদের খোঁজে অভিনব কৌশলে গুইমারা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন ইউএনও রক্তিম চৌধুরী। এসব এলাকার বেশির ভাগ মানুষের বাড়ি,বাড়িতো নয় পাখির বাসা-ছন পাতার ছানি, একটু খানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পানি”। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দিতে তালিকা বাছাইয়ে চমকপ্রদ এমন একটি পন্থা অবলম্বন করেছেন গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী।

স্বরজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে পাহাড়ের এপাড় থেকে ওই পাহাড়ে ছুটে খুঁজে বের করেছেন বেশকিছু অসহায়, হতদরিদ্র ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবার।

রীতিমত তার এ কার্যক্রমটি সংগে থাকা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের অভিভূত হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের শুরুতে এসব অসহায় পরিবারগুলো বাদ পড়েছিল। তিঁনি মানিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসার ,অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন গুইমারা উপজেলায়।দিনের দাপ্তরিক কাজ প্রায় সেরেই গুইমারা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্না ত্রিপুরা ,সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্মল নারায়ন ত্রিপুরা ও ওয়ার্ড মেম্বারকে নিয়ে বের হয়েছেন সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়।লক্ষ একটাই গৃহহীনদের যাচাই বাছাই করে প্রকৃত গৃহহীনদের ঘর প্রদান করা। অবিরত সন্ধ্যা পর্যন্ত ছুটে চলেছেন সদর ইউনিয়নের কবুতকবুরছড়া, মুসলিমপাড়া, মুলিপাড়া, হাজাপাড়া, ডাক্তারটিলা সহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রামের আনাচে-কানাচে। সূর্য অস্ত হয়ে গেছে, তবুও আপন গতিতে পাহাড়ের এ গ্রাম থেকে ওই গ্রামে খুজেঁছেন প্রকৃত গৃহহীনদের। বেশির ভাগ ঘর পাহাড়ের উপর, যার কারনে গাড়ি রেখে হেঁটেই যেতে হয়েছে বেশ পথ। এরই ভিতরে বেশকিছু ঘর যাচাই করেছেন।প্রতিটি ঘরের ভিতর ঢুকে অসহায় পরিবার গুলোর সাথে কথা বলেছেন ,নিয়েছেন তাদের প্রত্যাহিক জীবন যাপনের খোজঁ। যাকে অভিজ্ঞতা বলা যেতে পারে। তুষ্ট মন আর হাসি মাখা মূখে কথা বলেছেন শিশুদের সাথে ।খোঁজ নিয়েছেন শিশুদের লেখাপড়া ও বিদ্যালয়ের। ইউএনওর সাথে কথা বলে শিশুরা বেশ আনন্দীত। তার এই ছুটে চলা যেনো ভূমিহীন, গৃহহীন, দুর্দশাগ্রস্ত ও ছিন্নমূল পরিবারের আশ্রয়ের নির্ভরতা বহন করেছে।

মনে হয়েছে এটা একটা বিরাট মানবিক কর্মযজ্ঞ। তরু চাকমার একই পরিবারে দুইজন প্রতিবন্ধি রয়েছে। তার কুড়েঁ ঘর আর প্রতিবন্ধি সন্তানদের দেখলেন ইউএনও। কথা বলার ফাঁকে ঘরের অবস্থা কেমন, ভাঙা ঘরে ঢুকে দুপুর বেলায় কি রান্না হয়েছে ঢাকনা তুলে পাতিল দেখা, সাংসারিক জিনিসপত্র কি আছে ,সব মিলিয়ে দারিদ্রতটা কেমন, ছেলে মেয়ে মিলিয়ে সংসারে সদস্য কয়জন, লেখাপড়া করেকিনা, আয় কি, বয়স্ক লোক কেমন, অসুস্থতায় ভুগছে কিনা, এমনকি পরিবারের প্রধান কি করে এমন তথ্য গুলো সুন্দর আচারনের মাধ্যমে একজন পেশাদার সাংবাদিকের মত বের করে নিয়েছেন তিঁনি।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী বলেন, মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে সেমিপাকা একক গৃহ নির্মাণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। দুই কক্ষবিশিষ্ট গৃহ, প্রশস্ত বারান্দা, রান্নাঘর ও টয়লেট রয়েছে এ ঘরে। এঘর পেতে কোন টাকার প্রয়োজন হয়না, এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার। বিষয়টি বার বার সাধারন মানুষকে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, সমগ্র দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে মুজিববর্ষে জমিসহ সেমিপাকা ঘর দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্প হতে পারে সামাজিক উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার তার অনন্য দৃষ্টান্ত। এ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহায়নের সঙ্গে কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন, শিক্ষা, পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম যুক্ত হয়েছে।একটি গৃহ কিভাবে সামগ্রিক পারিবারিক কল্যাণে এবং সামাজিক উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হতে পারে তার অনন্য দৃষ্টান্ত ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্প। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন তথা দারিদ্র্য বিমোচনের এই নতুন পদ্ধতি ইতোমধ্যে ‘শেখ হাসিনা মডেল’ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে।

সবশেষে তিনি সদর ইউনিয়নের পাচঁ নং ওয়ার্ড়ে পরিবার গুলোর চিত্র দেখে একটি আশ্রয়নের শিবির করার অভিলাষ ব্যাক্ত করে বলেন, এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষই ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্প এর ঘর পাওয়ার দাবিদার, ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রতিবন্ধি পরিবার প্রধান তরু চাকমা বলেন, আমি গরিব মানুষ, আমার ছেলে মেয়ে দুটি প্রতিবন্ধি। বৃষ্টি পড়লে পানি পড়ে ।গতবার তুফানে আমার ঘর ভেঙ্গে গেছিলো।পাড়ার কার্ববারীও কোন সময়ে ঢুকে দেখে নাই। আমার ঘরে ইউএনও ঢুকে সব দেখে গেলো। আমি ঘর পাইলেও খুশি না পাইলেও জীবনে কোন দু:খ নাই।

বৃদ্ধ ভ্যান চালক নারায়ন ধর জানান,ভ্যান গাড়ি চালাই জীবন শেষ।পাচঁটি ছেলে মেয়ে নিয়ে এমন ঘরে থাকি ।কখনো কেও ঘরে ঢুকে দেকেনা । এবার ইউএনও আমার ঘরে ঢুকে দেখলো। এরকম ইউএনও তো আগে দেখিনি।

সর্বশেষ - এক্সক্লুসিভ

আপনার জন্য নির্বাচিত

দেবহাটায় টানা বৃষ্টিতে সড়ক ও গ্ৰামে জলাবদ্ধতা; দুর্ভোগে নিম্ম আয়ের মানুষ

ঝিনাইদহের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারকে যৌথবাহিনী গ্রেপ্তার করেছে 

তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলি

চন্দনাইশে বিট পুলিশিং সভা ও বাজার মনিটরিংয়ে  এএসপি কামরুল ইসলাম ও ওসি আনোয়ার হোসেন 

সুবর্ণচরে অনুপস্থিতি বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন 

১৩ দফা দাবিতে নড়াইলে জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের মানববন্ধন

সাতক্ষীরায় দেবহাটা মুক্ত দিবস; মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা ৬ ডিসেম্বর যথাযথভাবে পালিত

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস)’র কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন: চেয়ারম্যান মো: সুমন সরদার, মহাসচিব এম এ বাশার

নওগাঁর আত্রাইয়ে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপন

দেবহাটা উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা