
এসএম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ :
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়া নারায়ণগঞ্জকে গ্রীন এন্ড ক্লিন শহরে পরিণত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। তার এই পরিকল্পনাকে নারায়ণগঞ্জের সর্বমহল সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার ওই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জকে পরিচ্ছন্ন ও দৃষ্টিনন্দন শহর হিসেবে গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসনের ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচির আওতায় শহরের সমস্ত এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ শহরকে পরিচ্ছন্ন, দৃষ্টিনন্দন ও সবুজায়ন করা এবং ‘গ্রিন সিটি’ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশাসন অঙ্গীকারবদ্ধ।
এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জেলা প্রশাসন নিশ্চিত করেছে।জেলা প্রশাসনের গ্রীন এন্ড ক্লিন কর্মসূচির বাস্তবায়নের কারণে ইতিমধ্যেই দৃষ্টিতে আসতে শুরু করেছে লিংক রোডের সৌন্দর্য সহ পুরা শহরের দৃষ্টিনন্দন সুন্দর্য। ব্যানার ফেস্টুন বিহীন লিংক রোড ও শহর সাধারণ যাত্রীদের থেকে শুরু করে সর্ব মহল জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। ব্যানার ফাস্টুন অপসারণ হওয়া নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড কে পুরোপুরি জঞ্জাল মুক্ত মনে হচ্ছে এতে করে লিং রোড সহ পুরো নারায়ণগঞ্জ শহরটির শোভা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে লিংকরুটে ডিভাইডারে বসানো হয়েছে ল্যাম্প পোস্ট। এসব ল্যাম্পপোস্টে লাগানো হবে বাতি। ফলে লিংক রুটের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন নারায়ণগঞ্জ বাসী। লিংক রোড কে আলোকিত করা হলে চুরি ছিনতাই সহ সড়ক দুর্ঘটনার মত ঘটনাগুলো কমে আসবে।
বর্তমান সময়ে সব মহলেই আলোচনা চলছে আসন্ন ঈদকে উপলক্ষ করে এই সময় শহরে হাজার হাজার ব্যানার ফেস্টুনে ভরপুর থাকত বিভিন্ন দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের। কিন্তু বর্তমানে জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়ার গ্রীন এন্ড ক্লিন কর্মসূচির কারণে তার এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার ফেস্টুন কেউই লাগাচ্ছে না। এতে শহরবাসী সহ-সচেতন মহল আনন্দিত ও উচ্ছ্বাসিত। নগরবাসী নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়ার গ্রিন এন্ড ক্লিন কর্মসূচি বাস্তবায়নে নারায়ণগঞ্জের সৌন্দর্যের স্বার্থে সর্বমহল একমত পোষণ করেছেন ও পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সবাই সবার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে চলছেন ও সম্মান প্রদর্শন ও ত্যাগ স্বীকার করে আসন্ন পবিত্র ঈদ উপলক্ষে ব্যানার ফেস্টুন লাগাচ্ছেন না শহরকে দৃষ্টিনন্দন ও সৌন্দর্য রাখতে।
ব্যানার ফেস্টুন গুলি করতে অনেকেরই লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় হতো। তাই অনেকে এই ক্ষেত্রে টাকা ব্যয় না হওয়ায় ওই টাকাগুলিকে গরিব অসহায় নিপীড়িত সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ। এতে অনেক মানুষ উপকৃত হচ্ছে।
জানা গেছে নারায়ণগঞ্জের দেখাদেখি অনেক জেলাতেই ব্যানার ফেস্টুন অপসারণের কার্যক্রম চলছে। কথায় আছে নারায়ণগঞ্জ জাগলে জাগে বাংলাদেশ।