এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও (কক্সবাজার)॥কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে কৃষকের স্বপ্নের সোনালী ফসল আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। ধান কর্তনে শ্রমিকের দাম নিয়ে বিপাকে চাষীরা।
জানা যায়, ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর, পোকখালী, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ ও ঈদগাঁও ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে চলতি মৌসুমে সোনালী আমন ধান কর্তনে হিড়িক পড়েছে। শ্রমিকের চড়া দামে হিমশিম খাচ্ছে অনেকে। এসব এলাকায় দলবদ্ধ হয়ে শ্রমিকরা চাষীদের বাড়িতে ধান কাটতে যাচ্ছে দ্বিগুন দামে। নিরুপায়ে শ্রমিকদের নিয়ে নিতে হচ্ছে।
২২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে ঈদগাঁও বাজারের শাপলা চত্তর প্রাঙ্গনে শ্রমিক কেনাবেচার দৃশ্য চোখে পড়ে। দুই থেকে চারজন,ছয়জন করে গ্রুপ হয়ে ধান কাটতে আসেন তারা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রমিক কেনাবেচা হয়ে থাকে উক্ত স্থানে।
বালুখালী পান বাজার থেকে ধান কাটতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, বাড়িতে বসে বসে সময় কাটাতে পারছিনা। বেকারত্ব আর ভাল লাগেনা। এবার ধান কর্তনে আসলাম মাত্র। মজুরি কত জানতে চাইলে দৈনিক সাড়ে সাত শত টাকা বলে জানায়। কম হলে যেতে নারাজ। ঈদগাঁও বাজারে আসা গর্জনিয়ার আরেক শ্রমিক জানালেন, স্থানীয় অনেক দামদর করছে। ন্যায্য মজুরি না পেলে ধান কাটতে যাবেনা বলেও সাফ জানিয়ে দেন। কষ্ট করে সে পরিমান মজুরি না পাওয়া দু:খজনক। দৈনিক সাড়ে ৭শ থেকে ৮শ টাকার কমে কাজ করবেনা সে। সঙ্গে তিনবেলা খাবারও।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছরও মাঠে সোনালী আমন ধান চমৎকার রুপ নিয়েছে। ধানকাটা শ্রমিকের দামে চাষীরা অনেকটাই হতাশায় ভুগছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকতা শাখাওয়াত হোসেন জানান, এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। ঈদগাঁও উপজেলায় প্রায় সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের ভাল চাষবাদ হয়।