
কখনও কম্পিউটার ব্যবসায়ী, কখনও স্বর্ণ ব্যবসায়ী, কখনও কানাডাভিত্তিক এনজিওর কান্ট্রি ডিরেক্টর, কখনও মিডিয়া মালিক ও ব্যবসায়ী পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে আরিয়ান আহম্মেদ (৩৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে মিরপুর জনতা হাউজিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আরিয়ান ঢাকার দক্ষিণখানের পূর্ব আজমপুরের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আগেও ৮টি মামলা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, মিজান নামে এক প্রবাসীর কাছ থেকে কম্পিউটার ব্যবসায় বিনিয়োগ করার নামে এক লাখ টাকা নেন আরিয়ান। এরপর স্বর্ণের বার কিনবেন বলে ৯ লাখ টাকা নেন। এই ১০ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য তাকে চেক দেন। কিন্তু সেই অ্যাকাউন্টে এক টাকাও ছিল না!
মিঠুন সরকার নামে আরেক ব্যক্তির কাছে নিজেকে কানাডাভিত্তিক একটি এনজিওর কান্ট্রি ডিরেক্টর পরিচয় দেন আরিয়ান। এই এনজিওর উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে দেন বলে জানান তিনি। পরে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কানাডায় নিয়ে যাওয়া হয় বলেও জানান তিনি। এই প্রতিষ্ঠান গড়ার নামে মিঠুনের কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন এসএসসি পাস করা প্রতারক আরিয়ান।
মিজান ও মিঠুন এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে মিরপুর জনতা হাউজিং এলাকা থেকে আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওসি বলেন, আরিয়ান নিজেকে কখনও কম্পিউটার ব্যবসায়ী, কখনও স্বর্ণ ব্যবসায়ী, কখনও কানাডাভিত্তিক এনজিওর কান্ট্রি ডিরেক্টর, কখনও মিডিয়া মালিক, আবার কখনও প্রবাসী ব্যবসায়ী পরিচয় দেন। এছাড়াও প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে তার যোগাযোগ আছে বলে জানান। এজন্য বিভিন্ন সময় তিনি বিভিন্ন ব্যক্তিকে মেজর, ইউএনও, পুলিশ সুপার বলে পরিচয় করিয়ে দেন।
আরিয়ান মঙ্গলবারই ইতালি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন! কিন্তু তার আগেই তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।