
নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া॥ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে প্রত্যয়ন পত্র জাল করে আদালতে মামলা করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে আব্দুল মান্নান (৫২) এর বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার তালসার গ্রামের মৃত সুলতান মুন্সির ছেলে।
তিনি বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলার নথিপত্রে উল্লেখ করেছেন, একই গ্রামের রীমা আক্তারের স্বামী ফয়েজুল হক ২৫ বছর যাবৎ বিদেশে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশ (কম্বোডিয়ায়) চাকুরী দেয়ার জন্য আমার অনুরোধ করে এবং এনামুল হক, নেয়ামুল হক, মোছাঃ রীমা ঝিনাইদহ সদরের মাধবপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের কথায় বিভিন্ন সময়ে মোট ৮,৫০,০০০ টাকা দিই। পরে বিদেশে পাঠাতে না পারায় ফয়েজুল হকের কাছে টাকা চাইলে টাকা দিতে রাজি হয়। ইতিমধ্যে রীমা আক্তারের স্বামী ফয়েজুল হক হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বিদেশ থেকে আসার ১মাস এর মধ্যে মারা যায়। পরে তার মৃত দেহের জানাযায় সময় টাকা পরিশোধ করিবে মর্মে আশ্বস্ত করে এবং লাশ দাফন কাফন সম্পন্ন হয়।
কয়েকমাস পরে টাকা চাইলে আজ দিব, কাল দিব বলে ঘুরাতে থাকে। ফলে ৩নং কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুজ্জামান এর কাছে নালিশ জানালে চেয়ারম্যান সাহেব শালিশী বৈঠকের আয়োজন করেন এবং শালিশী বৈঠকে কোন সমাধান করিতে না পারায় তিনি মামলা করার পরামর্শ দেন। সিআর পিটিশন মামলা নং-২৯০/২২, ২৭/১০/২২।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা অনুসন্ধানে গেলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। জানা যায়, আব্দুল মান্নানের করা মামলার তদন্তের জন্য কোটচাঁদপুর থানাকে নির্দেশ দেন থানার অফিসার ইনচার্জ এস আই (নিঃ) হাসানুর রহমানকে এবং মামলার বিভিন্ন সাক্ষীর জবানবন্দি নেন। সাথে আব্দুল মান্নানের দাখিল করা ৩নং কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের জাল প্রত্যয়ন পত্র।
এস আই হাসানুর রহমানের তদন্ত পত্র দেখে জানা যায়, কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুজ্জান তার জবানবন্দিতে বলেছেন, আব্দুল মান্নান ৮,৫০,০০০ টাকা পাবে মর্মে আমার ইউনিয়ন পরিষদে কোন ধরনের অভিযোগ দাখিল করেননি এবং উক্ত বিষয়ে আমি কোন শালিশ-বিচার করিনি। এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই, আব্দুল মান্নান যে প্রত্যয়ন পত্র দাখিল করেছে উক্ত প্রত্যয়নের স্বাক্ষর ও আমার না।
এ ব্যাপারে নেয়ামুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভাই ফয়েজুল বিদেশ থাকতো। আমাদের প্রতিবেশী আব্দুল মান্নান এর সাথে টাকার কোন লেনদেন আছে কিনা সেটা আমরা বলতে পারবো না। আব্দুল মান্নান শুধু শুধু আমার ও আমাদের পরিবারের নামে মিথ্যা মামলা হয়রানি করছে।