নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া॥ দিনকে দিন পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। নিত্যপণ্যের উর্ধ্বমুখী দামে ক্রেতাদের জীবন নাভিশ্বাস। সারাদেশের ন্যায় এর ব্যতিক্রম নয় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর বাজার।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে দাম বেড়েছে প্রায় সব জিনিসের। চিকন চালের কেজি ৬৫ টাকা ও বাঁশমতি চালের কেজী ৭৫ টাকা। এ দিকে লাগামহীন গমের আটার দাম। এক কেজির (প্যাকেট) আটা ৭০ টাকা।লুজ আটা ৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আগামীতে আরও বাড়তে পারে বলছেন বিক্রেতারা। আর ময়দার কেজি ৬৩ টাকা। সেই সাথে আকাশ ছোঁয়া চিনির দাম ১১০ টাকা কেজি । ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ টাকা। দেশি মুরগী ৫০০ টাকা কেজি । তবে বাজারে ডিমের দাম উঠা নামা করছে । গত সপ্তাহে যে ডিমের দাম ছিল ৩৮ টাকা, বর্তমানে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা হালি। এদিকে তেজপাতা প্রতি কেজি ১৬০ টাকা,আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। আর রসুন কেজি ৪৫ টাকা।আলুর দাম সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে। আর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীত কালিন সজীবর দাম। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে পিঁয়াজ।এছাড়া বিভিন্ন সবজির বাজার রয়েছে চড়া। বেগুন ৩০, পাতাকপি ৩০, ফুলকপি ৪০, লাউ ৩০, মেটেআলু ৮০, ছোলারশাক ১০০, পালন শাক ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর নতুন চৌগাছা বাসষ্ঠ্যান্ডে বাজারে বাজার করতে এসে বেসরকারি চাকরিজীবী সবুজ বলেন, বাজার থেকে পণ্য কেনা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। মানুষের আয়ের যে অবস্থা তার সাথে ব্যায়ের কোনো মিল নেই। ক্রেতারা এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছেন একটু কম দাম পাওয়ার জন্য। মানুষ বাজারের এমন উত্তাপ টের পাচ্ছেন হাড়ে হাড়ে। আব্দুর রশিদ নামের এক দিনমজুর বলেন,আমাদের আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হচ্ছে। দিনমুজুরি করে সারাদিন যে টাকা আয় করি বাজার করতে গেলে সব শেষ। তাহলে চলবো কী করে। সংসারে আরো খরচ রয়েছে। বাজার করতে এসে আনোয়ার হোসেন রানা বলেন, সপ্তাহ ধরেই উর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের দাম। এতে কারো যেনো কোন মাথা ব্যাথা নেই। প্রশাসনিক পদক্ষেপ না থাকায় হতদরিদ্ররা পড়ছে বিপাকে।খাদ্য নিরাপত্তা ও মার্কেটিং অফিসারের বাজার মনিটরিং না থাকায় ক্রেতারা পদে পদে জিনিস কিনে ঠকছে। পরিবার পরিজন নিয়ে দুবেলা দু-মুঠো খেয়ে বাচার উপায় থাকছে না মানুষের। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের বাজারের আগুন মুল্যে মানুষ পুড়ে মরছে।
বাজার মনিটরিং এর বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ বলেন, বাজারের অবস্থা খারাপ। আমি চেয়েছিলম বাজার বনিক সমিতির নেতাদের ডেকে জানিয়ে দিতে। জানতে পারলাম এখানে বণিক সমিতি নাই। এ কারণে মোবাইল কার্ট করা হবে বলে জানান।