বাংলাদেশ সকাল
বৃহস্পতিবার , ৫ জানুয়ারি ২০২৩ | ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. কৃষি বার্তা
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. খোলা কলাম
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন বিধান
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাস
  14. বিনোদন
  15. বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

গঙ্গাচড়ায় ১৮১ বছরের পুরোনো ‘কলি ও দলি আমিন’ মসজিদ দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
জানুয়ারি ৫, ২০২৩ ৫:৪৮ অপরাহ্ণ

গংগাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি॥ রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার একমাত্র প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন কলি ও দলি আমিন জামে মসজিদ। প্রায় ১৮১ বছরের পুরোনো এই মসজিদ উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের মিয়াপাড়া গ্রামে অবস্থিত। মসজিদের গায়ে আরবি হরফে লেখা ফলক দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়, এটি ১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত হয়।

কথিত আছে, বড়বিল ইউনিয়নের মিয়াপাড়া গ্রামে দলি আমিন ও কলি আমিন নামে দুই ভাই বসবাস করতেন। তাদের প্রচেষ্টায় এ মসজিদ নির্মিত হয়। মসজিদটি চুন ও সুরকি দিয়ে তৈরি। তিন গম্ভুজবিশিষ্ট এ মসজিদের ভেতরে কারুকার্য খচিত অসংখ্য নকশা রয়েছে। তবে এর একটি নকশার সঙ্গে অন্য নকশার কোনো মিল নেই। তিনটি গম্বুজের ওপরে রয়েছে ফুলসদৃশ চার ফুট উঁচু নকশা। এছাড়া মসজিদের দক্ষিণ পাশে আজানের সুউচ্চ মিনার রয়েছে। ১৩ জন মিস্ত্রি এ মসজিদের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন। কিন্তু তাদের খাওয়ানোর সময় ১২ জনকে খুঁজে পাওয়া যেত।

স্থানীয়রা জানান, এই মসজিদ যারা নির্মাণ করেছেন, তারা বিশ্বকর্মা নামে অভিহিত ছিল। এ ছাড়া একটি বড় কড়াইয়ে ঘি ঢেলে তাতে মসজিদের নকশা তৈরির উপকরণ ভেজে নেওয়া হতো। বিশাল আকৃতির এ কড়াইটি এখনো মসজিদের সামনে রাখা আছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোগল আমলের নির্মিত এই ঐতিহাসিক মসজিদ ও এর বিশাল আকৃতির কড়াই দেখতে দূরদূরান্ত থেকে এখানে আসেন পর্যটকরা।

এই মসজিদের ইমাম নুর আলম জানান, মৃত শাহাদাত মিয়ার দাদার নাম ছিল দানেশ মামুদ। দানেশ মামুদের দাদা ছিলেন কলি আমিন। যার নামে প্রাচীন এই মসজিদের নামকরণ করা হয়েছিল।

স্থানীয়রা জানান, গঙ্গাচড়ার বড়বিল ইউনিয়নের মিয়াপাড়ায় বাংলার ১২৪৮ (১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দ) সালে মসজিদটি নির্মাণ করা হলেও ১৩০৮ সালের ভূমিকম্পে এর অনেকাংশ মাটির নিচে ঢুকে গেছে। ফলে মসজিদের জানালাগুলো নিচে নেমে এসেছে এবং দরজাগুলো খাটো হয়ে গেছে। এ কারণে মসজিদে প্রবেশ করতে মুসল্লিদের কষ্ট হয়।

বর্তমানে গঙ্গাচড়ার প্রাচীন এ মসজিদটি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। ছাদসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। কিন্তু এটি সংস্কার করা দুঃসাধ্য হওয়ায় মুসল্লিরা ওই অবস্থাতেই মসজিদে নামাজ আদায় করছেন।

এলাকাবাসী জানান, পুরোনো মসজিদটি যেহেতু সংস্কার করা সম্ভব নয়, সে কারণে এটি নষ্ট না করে তার পাশেই নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

স্হানীয় বাসিন্দাদের দাবী প্রাচীন নিদর্শন সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণে যুগোপযোগী কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে প্রাচীন এ মসজিদটি বিলুপ্তর হাত থেকে রক্ষা করবে।

সর্বশেষ - সারাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত

বাগমারায় কাঁচি প্রতীকের প্রার্থীর প্রচার মিছিলে নৌকার সমর্থকদের হামলা, আহত ৩০

মহালছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

নাটোরে পরিবহন ধর্মঘটে চলছে যাত্রীদের দুর্ভোগ

হাসিনা-মাখোঁর আলোচনার পর বাংলাদেশ-ফ্রান্সের যৌথ বিবৃতি

ভোমরা থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

দেবহাটা উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

ঝিনাইদহে সড়ক সংস্কারের দাবীতে অবরোধ ও বিক্ষোভ

কয়রা থানা পুলিশের অভিযানে ৫৩ কেজি হরিণের মাংস ৩১০ কেজি চিংড়ি মাছ উদ্ধার

নাটোরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

ধামইরহাটে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী পরিবারের যাওয়ার রাস্তা বন্ধের অভিযোগ