বাংলাদেশ সকাল ডেস্ক: দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে তিনি বলেছেন- সবাই পেলো সোনার খনি আমি পেলাম চোরের খনি। চোরের দলেরা সব চেটেপুটে খেয়ে যায়। আমি যা ভিক্ষা করে আনি।
হ্যাঁ সেই চোরের দলের চোরের মার বড় গলায় রাষ্ট্র কম্পিত, মুক্তিযোদ্ধাদের ভুলুন্ঠিত করতে সদা তৎপর।
এক মিটিং এ বক্তব্যের মধ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বলেছিলাম আপনারা জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। আমরা আপনাদের পরম্পরা। আপনারা নিজেদের সন্মানিত করেন, ত্রাণের জন্য আর ৫০০ টাকা সাথে খাবারের প্যাকেট নিতে ঐ জেলা প্রশাসকের কাছে নিজের চরিত্র বিক্রি করতে যাবেন না প্লিজ । আপনাদের জন্য মন্ত্রনালয় আছে, আপনাদের জন্য প্রতি জেলায় নিজস্ব কার্যালয় আছে। আপনাদের মেরুদন্ড সোজা করে সেই কর্যালয়ে থাকুন। অন্যর কার্যালয়ে গিয়ে নিজেকে অসম্মানিত করবেন না।
আমার কথার প্রেক্ষিতে সেদিন ঐ মিটিংয়ে উপস্থিত দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেছেন “যুদ্ধের সময় কয়েদীদের সাধারণ ক্ষমা করে যুদ্ধ করানো হয়েছিল। এজন্য মুস্টিমেয়ো তখন কার কয়েদি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নাম নস্ট হচ্ছে। আর সেই কারণেই খেলার পুতুল বানিয়েছে অসন্মান করছে আমলা দিয়ে। দায়িত্ব এড়ানো এমন বক্তব্য আমি প্রত্যাখান করেছিলাম। হাত পেতে ভিক্ষা করে এদেশের স্বাধীনতা আসেনি। পাক হানাদার বাহিনীর সম্মুখ ভাগে দাঁড়িয়ে যুদ্ধের ময়দানে দাঁড়িয়ে রক্ত ও প্রাণ আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা। এদেশের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার পাওয়া যেমন কর্তব্য ও রাষ্ট্রিক নীতিমালা প্রতিস্ঠা করার দায়িত্ব ও বটে।
অপরদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসন্মান করে তোলায় যেনো এরা প্রতিযোগিতায় নেমেছে। জেলায় জেলায় মুক্তি যোদ্ধা সংসদ নামের যে বিলডিং করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এখন সেখানে জেলা প্রশাসক কমান্ডারে দায়িত্ব পালন করছেন। আর মুক্তিযোদ্ধারা ঐ বিল্ডিং এর সিঁড়ির নিচে বসে অফিস করছে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটির দেখভাল ও সেখানকার সব কিছু পরিচালনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বেই হওয়ার কথা কিন্তু চিত্র ভিন্ন । আজ সব নিয়ম তোয়াক্কা করে যে দেশের নিতানার্ধাকরা ঠিক করে একটা নাবালক দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপর ছড়ি ঘোরাবে সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান খুব অক্ষুন্ন থাকে মনে হয় না! রাস্ট্র যন্ত্র ও সমাজ উভয়ের আচরণে পাকিস্তান আত্মা পেত্মাত্মার ধারণ করি এখন সর্বত্র বিরাজমান।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক এর সন্তান হিসাবে আমি গর্বিত। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ করার মধ্য দিয়ে কোটা সংস্কার হোক। জেলা প্রশাসকের মুতকান্টা বাদে প্রতি জেলায় ও শহীদ মিনারে নেই স্মৃতি সৌধ বাস্তবায়ন করা হোক। যথাযথ মর্যাদা রক্ষা করে ২৬ শে মার্চ ও ১৬ই ডিসেম্বর পালন করা হোক সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে।
মির্জা গালিব উজ্জ্বল
সদস্য সচিব
সর্বস্তরে স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন আন্দোলন।