ইমাম হাছাইন পিন্টু নাটোর॥ সারা দেশের মতই নাটোরের গুরুদাসপুরে নেমে এসেছে তীব্র শীত। একই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘন কুয়াশা। এ কারণে উপজেলায় অনেক অঞ্চলেই সূর্যের দেখা মেলেনি। প্রচন্ড ঠান্ডায় জনজীবনে বিপর্যস্ত অবস্থা তৈরি হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৪ ঘণ্টায় শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও শীতের তীব্রতা ছিল প্রচন্ড। তাপমাত্রার তুলনায় শীত বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ উত্তরের হিমেল বাতাস। উপজেলা জুড়ে এমন বাতাস বইতে পারে আরও কয়েক দিন।
তবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্বাভাসে জানানো হয়, চলতি জানুয়ারিতে দেশে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। তবে তীব্রতার সম্ভাবনা বেশ কম।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, এখন যে তাপমাত্রা রয়েছে, তা এই সময়ের জন্য স্বাভাবিক। তবে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দেশের ওপর দিয়ে হিমেল হাওয়া বইতে থাকায় এখন শীত তুলনামূলক বেশি অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা যতটা কমেছে, তার চেয়ে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।
সরে জমিনে দেখা যায়, জেঁকে বসেছে শীত। টানা দুই দিন ধরে এই উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। বাতাসে বইছে হিমেল হাওয়া। ভোরের কুয়াশা কেটে সূর্ষের দেখা মিলছে না। সন্ধ্যা নামতেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এ উপজেলা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসারগন বলেন, এখন প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে আসছেন। এর মধ্যে শিশুরাই বেশি রয়েছে