যশোর জেলা প্রতিনিধি॥ দেশের আনাচে কানাচে ব্যাঙের ছাতার মত অনুমোদনহীন গজে উঠেছে ক্লিনিক, ডায়াগানস্টিক সেন্টার। একই সাথে গজে উঠেছে অনুমোদনহীন ফার্মেসী আর ফার্মেসী কেন্দ্রিক চিকিৎসা সেবা। এর ব্যতিক্রম নয় যশোরের চৌগাছাও, প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারির অভাবে চলছে অপচিকিৎসা। এ যেন দেখার কেউ নেই ! ভুগছে রোগী, ধুকছে চিকিৎসা সেবা।
সার্বিক এ অব্যবস্থাপনার সুযোগ নিচ্ছেন সুযোগ সন্ধানীগণ। যশোরের চৌগাছার আড়পাড়ায় মিলন ওরফে ডাঃ মিলন ও এর ব্যতিক্রম নই। অনুমোদনহীন ফার্মেসী খুলে খালি গায়ে ফার্মেসীতে বসেই দিচ্ছেন চিকিৎসা সেবা। লিখছেন ইচ্ছামাফিক এন্টিবায়েটিক, কিনছে রোগী অথচ নেই কোন সার্টিফিকেট।
ভুয়া ডাক্তার মিলন এর কাছে বাংলাদেশ সকাল এর প্রতিবেদক ডাক্তারি সার্টিফিকেট দেখতে চাইলে বলেন, আমার কোন সার্টিফিকেট নেই। তাহলে কিভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘ভর্তি হয়েছিলাম পড়াশোনা শেষ করতে পারিনি।” কোথায় পড়াশোনার করেছেন জানতে চাইলে বলেন, মনে নেই, পরে কিছুক্ষণ সময় নিয়ে বলেন বারোবাজারে। এই হল ডাক্তার মিলন। এন্টিবায়েটিক লিখতে পারেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, না। অথচ এই প্রতিবেদক এর কাছে তার নিজ হাতে সাদা কাগজের উপর এন্টিবায়েটিক লেখার প্রমাণ আছে।
এভাবেই চলছে চৌগাছার আড়পাড়া বাজারে ভুয়া ডাক্তার মিলনের অপচিকিৎসা। চৌগাছার আড়পাড়ায় ভুয়া ডাক্তার মিলনের অপচিকিৎসার শিকার ভুক্তভোগীদের নিয়ে প্রতিবেদন আসছে পরবর্তী পর্বে…