
মোঃ আনোয়ার হোসেন, ডিমলা(নীলফামারী)॥নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের শোভানগন্জ বালাপাড়া গ্রামের আঃ করিমের পুত্র নুর মোহাম্মদ গত প্রায় ২মাস পুর্বে বিবাহ করেন পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগন্জ ইউনিয়নের বিজয় নগর এলাকার আলম হোসেন ও রোজিনা বেগমের কন্যা আঁখি মনি এর সাথে। বিবাহের পর আঁখি মনিকে স্বামী নুর মোহাম্মদ তার বাড়িতে নিয়ে আসে। আঁখি মনি এর মাতা-পিতা উভয়ে ঢাকায় গার্মেন্টস এর চাকুরী নেয় এবং সেখানে অবস্থান করতে থাকে।
জানা যায়, আঁখি মনি তার স্বামীর সংসারে থাকাবস্হায় আঁখি মনি এর হাতের মেহেদী রং শুকাতে না শুকাতে নেমে আসে সামাজিক যৌতুক নামের খড়গ। আঁখি মনি এর মাতা ও পিতা তারা যৌতুকের টাকা যোগাড় করতে না পেরে সময় নেয় নুর মোহাম্মদের নিকট। কিন্ত নুর মোহাম্মদ তার পিতা-মাতার কথামতো চাপ দিতে থাকে আঁখি মনিকে। স্বামী ও তার পরিবারের দ্বারা নির্যাতিত হতে হয় আঁখি মনিকে। ঘটনার দিন ৩ ডিসেম্বর রাতে নুর মোহাম্মদের শোয়ার পশ্চিম দুয়ারি পুর্ব ঘরের দক্ষিন রুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ডিমলা থানা পুলিশ আঁখি মনি এর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে।
তবে, মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে আঁখি মনি এর মাতা ও পিতা ঢাকা থেকে আজ ৪ ডিসেম্বর ডিমলায় এসে জানায় তার কন্যা আঁখি মনিকে তার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন প্রহার করে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন। তিনি থানায় অভিযোগ দাখিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানায়।