মোঃ আনোয়ার হোসেন, ডিমলা (নীলফামারী)॥ডিমলায় দেবর কর্তৃক ভাবীকে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে প্রতিবাদ করলে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ৩নং ডিমলা ইউনিয়নের সরদারহাট গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডের ফয়েজ উদ্দিনের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম সে একজন ট্রাকচালক। জাহাঙ্গীর আলম সে ভাড়ায় ট্রাক চালাতে গিয়ে তাকে বাহিরে রাত্রি যাপন করতে হয়। এদিকে তার স্ত্রী কমলা বেগম সে তার এক শিশু পুত্র সন্তান নিয়ে বাড়িতে সংসার দেখাশোনা করে আসছিল। কিন্তু জাহাঙ্গীর আলমের ভাই সুমন ইসলামের চোঁখ পড়ে তারই আপন ভাবী কমলা বেগম উপর। কমলা বেগম মাঝে মধ্যে বাড়িতে একাকী থাকার সুযোগ নিয়ে দেবর সুমন ইসলাম তার ভাবীকে আয়ত্বে পাবার আশায় মসকারীমুলক কথাবার্তায় কুপ্রস্তাব দেয়। কমলা বেগম ঘটনা তার স্বামীকে জানালে দেবর সুমন ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এরই একপর্যায়ে গত ২৫ নভেম্বর কমলা বেগম সারাদিন সাংসারিক কাজকর্ম করে সন্ধ্যায় বাড়ির টিউবওয়েলের গোসল খানায় গোসল করতে থাকলে সুযোগ নিয়ে দেবর সুমন ইসলাম গোসলখানায় গিয়ে অতর্কিতে ভাবী কমলা বেগমকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করায় ভাবী কমলা বেগম চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে কমলা বেগমকে রক্ষা করে। এ- অবস্থায় কমলা বেগম ঘটনা তার শ্বশুরকে জানাইয়া বিচার দাবী করায় দেবর সুমন ইসলাম নিজের দোষ ঢাকানোর উদ্দেশ্য কমলা বেগমের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে লাঠি দ্বারা তার ভাবী কমলা বেগমকে বেদমভাবে প্রহার করে এবং পড়নের কাপড় টানাহ্যাঁচড়া করে ছিঁড়ে দেয়।
পরবর্তীতে পাড়া প্রতিবেশিরা কমলা বেগমকে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে মোবাইল ফোনে সংবাদ জানালে জাহাঙ্গীর আলম অন্যত্র থেকে বাড়িতে ফিরে স্ত্রী কমলা বেগমের নিকট ঘটনার বর্ননা শুনে তার ভাই সুমন ইসলামকে প্রতিবাদ করতে গেলে সুমন ইসলাম তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলমকে লাঠি দ্বারা ডাংমার করে জখম করে।
সুমন ইসলাম সে তার ভাই- ভাবীকে প্রান নাশের হুমকি দিলে কমলা বেগম ও তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম তারা সুমন ইসলামের বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তারা স্বামী -স্ত্রী জানায়।