ডোমার প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে ভুয়া সংঘ দেখিয়ে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর-নগদ টাকা) কর্মসূচি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে মিলন ইসলাম এবং ওনার স্ত্রী ফারজানা আক্তার আখি দম্পতির বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে জানা যায়, মিলন এবং ওনার স্ত্রী আখি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের সা/৪৮ প্রকল্পের ডোমার পঞ্চরুপী সংঘ সংস্কার ও উন্নয়ন বাবদ ডোমার উপজেলা পরিষদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অফিস থেকে টিআর প্রকল্পের এক লক্ষ ১৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে। ডোমার উপজেলায় অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজির পরেও পঞ্চরূপী সংঘের কোন কার্যক্রম খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ডোমার পৌরসভার বাসিন্দা মিল্লাত হোসেন সাদ্দাম বলেন, এই ধরনের কোন প্রকল্প ডোমারে ছিলোই না। কেউ নামও শুনেনি।
ভূয়া পঞ্চরুপী সংঘের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একই ব্যক্তি মিলন ইসলামকে পঞ্চরুপী সংঘের ডোমার উপজেলার কোথায়, কোথায় কার্যক্রম করেছে এবং অফিস কোথায় ?
প্রশ্ন করলে তিনি জানান, অফিস ভাড়া নেওয়া হয়েছিল,বাস স্টান্ড ওখানে ,ব্লাড দেওয়া হয়,অসহায় মানুষ সহায়তা করা হয়, আর্তমানবতায় যে সব সেবা দেওয়া হয়, সে গুলো দেওয়া হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়,প্রায় ১৫ দিনের জন্য মিলন এবং উনার স্ত্রী আখি ডোমার উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অফিসের পাশে একটা ফাঁকা দোকান সংঘের অফিস দেখিয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণা করে টিআর প্রকল্পের এক লক্ষ ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার পর ভুয়া সংঘের অফিস (দোকান) বন্ধ করে দেয়। ওই দোকান সম্পর্কে পার্শ্ববর্তী অনেক দোকানদার সহ আশেপাশের মানুষের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, পঞ্চরূপী নামে কোন সংঘের নামেই কেউ শুনে নেই। ওই দোকান বহুদিন ধরে বন্ধ আছে।
জালিয়াতি করে সরকারি বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ এর ঘটনায় ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়লা সাঈদ তন্বী বলেন, পিআইও অফিসার কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




















