সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি॥ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামের ভূমিখেকো ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার ছেলে,ভাতিজা ও স্বজনদের দাড়াঁলো অস্ত্রের হামলায় একই গ্রামের একটি নিরীহ পরিবারের নারীসহ ৩/৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন,পেরুয়া গ্রামের নিরীহ সুরেশ চন্দ্র দাসের ছেলে সুজন চন্দ্র দাস(৩২),নরেশ চন্দ্র দাসের সহধর্মিনী সুনতী রানী দাস(৬৫) ও অনিল দাসের ছেলে সজ্ঞিত দাস। আহতদের মধ্যে গু সুজন চন্দ্র দাস ও তার জেঠিমা সুনতী রানী দাসের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয় এবং বাকিদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত পহেলা ডিসেম্বর দিনে।
এ ঘটনায় আহত পেরুয়া গ্রামের সুরেশ চন্দ্র দাসের ছেলে আহত সুজন চন্দ্র দাস বাদি হয়ে গত ৭ ডিসেম্বর ও পেরুয়া গ্রামের মৃত প্রসেন্দ্র রায়ের ছেলে হামলার নির্দেশদাতা চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভূমিখেকো পরিতোষ রায়কে আসামী করে তার ছেলে পার্থ সারতী রায়,ছোট ছেলে পুলক রায়,চেয়ারম্যান পরিতোষ রায় তার সহধর্মিনী সুজলা রানী রায়,তার ভাতিজা মৃত প্রমথ রায়ের ছেলে পঙ্কজ কান্তি রায়,ত্রিপদ কান্তি রায়,মৃত প্রজেশ রায়ের ছেলে সাগর কান্তি রায়,তপন রায়,বকুল রায়,পরিমল রায়ের ছেলে স্বপন রায় ও পলাশ রায়,জামাতা মৃত পরেশ বণিকের ছেলে গৌতম বণিকসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দিরাই জুনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৩,তারিখ ০৭/১২/২০২২ইং তারিখ।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পেরুয়া গ্রামের নিরীহ সুজন চন্দ্র দাসের বাড়ির পাশে ডিসির খতিয়ানের ৫৬ শতক লায়েক পতিত জায়গা তার পূর্ব-পূরুষরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু তাদের অজান্তে এই গ্রামের মৃত প্রসেন্দ্র রায়ের ছেলে ভূমিখেকো পরিতোষ রায় ও তার সহোদররা মিলে টাকার বিনিময়ে ডিসির খতিয়ানের এই জায়গাটুকু গোপনে রেজিস্ট্রারী করে নেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। ডিসির খতিয়ানের জায়গাটুকু ভূমিখেকো ইউপি চেয়ারম্যান পরিতোষ রায় ও তার ভাইয়েরা গোপনে রেজিষ্ট্রারী করার বিষয়টি জানতে পেরে গ্রামের দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলকারী নিরীহ সুজন চন্দ্র দাস জানতে চাইলে পরিতোষের নিদের্শে তার ছেলে,ভাতিজা ও স্বজনরা মিলে দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে সুজনদের বাড়িতে গিয়ে সুজনের উপর দাড়াঁলো অস্ত্র দা, রামদা ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় তার জেঠি মা ও স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদেরকে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মামলার বাদি সুজন চন্দ্র দাস জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাই উনারা প্রকৃতপক্ষে ভূমিখেকো দাঙ্গাবাজ হিসেবে চিহিৃত। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারন মানুষজন। তিনি অবিলম্বে এই হামলাকারী ইউপি চেয়ারম্যানসহ সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
এ ব্যাপারে মামলার অন্যতম আসামী চরনারচর ইউপি চেয়ারম্যান পরিতোষ রায়ের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল আলম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।