আব্দুল্লাহ আল মামুন : দেবহাটায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সখিপুর ইউনিয়ন শাখা অফিস উদ্বোধন ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় সখিপুর মোড়ে এ কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সখিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি সাবেক মেম্বার আফসার আলীর সঞ্চালনার ও ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ইয়াকুব সরকারের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর হাফেজ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী আলহাজ্ব মাহাবুবুল আলম, জেলার অন্যতম সদস্য এম আসাদুজ্জামান মুকুল, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা অলিউল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এইচ এম ইমদাদুল হক, পারুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির (ভারপ্রাপ্ত) মাও: আবু ইউসুফ, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ইন্জিনিয়ার মাহবুব আলম ছাত্র শিবিরের উপজেলা সভাপতি রোকনুর জামান, সেক্রেটারি শাফায়েত হোসেন, সাবেক ইউনিয়ন জামায়েত নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মইনুদ্দিন ময়না, সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তরা বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার বার বার দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করেছে। এই আওয়ামী লীগ ৭১- এর পর স্বাধীন বাংলাদেশে বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন ও শোষণের নীতি অবলম্বন করেছিল। আর খুনি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা গোটা দেশকে স্বৈরাচারী কায়দায় জিম্মি ও অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। ১৫ বছর আওয়ামী লীগ খুন, গুম, মামলা-হামলায় মেতেছিল। দেশে ন্যায়বিচার বলতে কিছুই ছিল না। বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এমতাবস্থায় ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচারীকে মেনে নেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ আমলে মানুষ ঘরে থাকতে পারেনি। অসংখ্য আলেম ওলামাকে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটানো হয়েছে।স্বৈরাচারী হাসিনা ১৫ বছর দেশের জনগণকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা ষড়যন্ত্র চলে আসছে। এমনিক দেবহাটার মাটিতে ৮ জন ভাইকে নির্মাম ভাবে শহীদ করা হয়েছে, অসংখ্যা মানুষকে পঙ্গ করা হয়েছে, মানুষকে ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। তারপরেও কোন সময় মাঠ ছেড়ে দেয়নি। জামায়াত মানুষের কল্যাণে কাজ করে, জামায়াত কখনো অন্যায়ভাবে মানুষের উপর জুলুম করে না। জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা মানুষের বাড়িঘর, ধর্মীয় উপসানালয় পাহারা দিয়েছিলেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য আরো বলেন, আমাদের প্রত্যেকের উচিত হবে সবাইকে সাধারণ ক্ষমা করে দেওয়া। আমরা হানাহানী নয় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই। মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও বাসযোগ্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সবাইকে ঐক্যবন্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ সময় ইনসাফভিত্তিক, একটি বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকদেরকে জামায়াতের হাতকে শক্তিশালী করার উদাত্ত আহ্বান জানাই।