হাকিকুল ইসলাম খোকন : দলের দুঃসময়ে যারা থাকেন, সু সময়ে তাদের মূল্যায়ন করা হয় না- সু সময়ে দলের নেতা -নেত্রীরা ত্যাগী নেতাকর্মীদের অমূল্যায়ন, অসম্মান করেন, ভুলে যান. অতীত থেকে বার বার শিক্ষা।
ক্ষমতায় থাকাকালীন পদে অধিষ্ঠিত কারীরা নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করে নীজ স্বার্থে সমাজের সুবিধাবাদী, অধীক দুর্নীতি পরায়ন ব্যক্তিদের কাছে টেনে আনেন, নিজেরা ভোগ করেন আর তাদের সব সুযোগ সুবিধা করে দেন। এতে উভয়েই প্রচুর ধন সম্পদের মালিক হন। দেশ- বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেন। দুঃসময়ে তারা আড়াল হয়ে যান।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারাই আবার অবৈধভাবে উপার্জিত কিছু অর্থ (কোটি কোটি টাকা) খরচ/ প্রলোভন দেখিয়ে দলের নীতি নির্ধারণী নেতা নেত্রীর সুনজরে আসতে সক্ষম হন। সুবিধাবাদীরা দলের দুঃসময়ে দেশ বিদেশে সময় অতিবাহিত করেন আর দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীরা হাল ধরে জেল জুলুম, চির ত্যাগের সম্মূখীন হন। সুবিধাবাদী পরিবারের অধিকাংশ সদস্যরাই তাদের আবাসস্থল বিশ্বের উন্নত দেশেই গড়ে তুলেছেন। তারা সুবিধার সময়ে অর্জিত সম্পদ দেশ বিদেশে স্হায়ী করেন। তাদের পক্ষে রাষ্ট্র, দল, সমাজের অধিকাংশ মানুষ থাকতে বাধ্য হয়। মহান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া দুনিয়াতে সুযোগ সন্ধানীদের পতন ঘটনানোর কোন শক্তি নেই। তারাই এগিয়ে চলেছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ পরিবারের একজন ত্যাগী, সৎ সাদা মনের নেতা নাম না জানিয়ে বলেন, পচাঁত্তরের পর থেকে দলের দুঃসময়ে আন্দোলন, সংগ্রামে অনেকের সাথে আমারও অংশ গ্রহণের সুযোগ হয়েছে। জেল, জুলুম, নির্যাতনের সম্মূখীন তো আছেই। নিজের রাজনৈতিক জীবনে দলের দুঃসময়ে ছোট পদে অবস্থান থাকলেও সুঃসময়ে দলের কোন পর্যায়েই স্থান পায়নি। দলের অনেক সিনিয়র নেতাদের পতিত সময়ে তাদের উত্থানে সহযোগিতায় কাজ করতেও দ্বিধাবোধ করেনি। ওদের উত্থান হলেও পরবর্তীতে তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে-চেষ্টা করেও কোন সহযোগিতা পায়নি। তাই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ হয়েছি। বরং তাদের দ্বারা আরো বেশী ক্ষতিগ্রস্থের সম্মূখীন হয়েছি। নিজ নির্বাচনী এলাকায় বার বার দলের মনোনয়ন না পেলেও দলের অনুকূলে রয়েছি।
এ জীবনে নিজ দলের জয়- পরাজয় একাধিক বার দেখেছি। বিজয়ে আনন্দ উল্লাস আর পরাজয়ে দুর্গতির শেষ নেই। অতীতে দলের পরাজয়ের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে আনতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে অংশ গ্রহণে নিজেকে কখনও বিরত রাখেনি। এই পথ চলার শেষ নেই !