ষ্টাফ রিপোর্টার এনামুল কবীর এনাম॥ নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার হাসেন বেগপুর ওয়াডের চকরাম নারায়ণ মৌজার জাহাঙ্গীর ও হাসমত আলী সহ ৪/৫ জন কৃষকের ১৬ বিঘা জমির শীষ বাহির হওয়া ধানে গত ১৭ এপ্রিল ভোর রাত অনুমান ৪ টায় বিন্নাও ঘাস মারা বিষ দিয়ে ইরি ধান পুড়ে দিয়েছে কে বা কারা।
উক্ত ধান পোড়া বিষয়ে ধান লাগানো কৃষক জাহাঙ্গীর, ও হাসমত আলী বাদী হয়ে গত ১৮ ও ১৯ এপ্রিল হাসেন বেগপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত আইজুল হকের ছেলে আঃ রাজ্জাক সহ ৫ জন কে আসামি করে পত্নীতলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। দীর্ঘ বছর ধরে আঃরাজ্জাকের সঙ্গে জাহাঙ্গীর ও হাসমত গ্রপের উক্ত জমি নিয়ে মামলা হামলা চলে আসতো বলে গ্রামবাসী সহ এলাকা বাসী সুএে জানা গেছে। ১৯৭৪/১৯৭৯ সাল থেকে জাহাঙ্গীর ও হাসমত আলীর গ্রপ কবলা সুএে জমি ভোগ দখল সহ চাষ আবাদ করছেন মর্মে জানা গেছে। উক্ত জমিতে আঃ রাজ্জাক দীর্ঘ বছর ধরে হামলা মামলা সহ বিভিন্ন ক্ষতি সাধন করে আসছে বলে কতিপয় এলাকাবাসী সুএে জানা গেছে। অভিযোগের বাদীদ্বয় আর,এস,১৯৯ নং খতিয়ানের সন্চা উড়াও,ও মাধারী উড়াও এর কাছ থেকে ১০৮/৯৯ নং দাগের জমি ৪ একর ৪৭ শতাংশ কবলা দলিল মুলে দীর্ঘ বছর ধরে চাষ আবাদ করছেন মর্মে জানা গেছে।
অভিযোগের বিবাদী আইজুল হকের ছেলে আঃ রাজ্জাক ডুমনা উড়াও এর কণ্যা আরতী রানীর কাছে ১ একর ৮০ শতাংশ জমি কবলা সুএে মালিক হিসাবে দাবি করেন, কিন্তু দখলে নাই। তিনি বলেন, অভিযোগের বাদীদ্বয় জবর দখল করে চাষ আবাদ করেছেন। বিষ প্রয়োগ ফুলা ধান পুড়েছেন অভিযোগের আলোকে জানতে চাইলে রাজ্জাক সহ বিবাদী গন বলেন আমাকে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করার চেষ্টা করেন বাদীদ্বয়।
মোটর চালিত স্কিমের ম্যানেজার জিয়া বলেন, জাহাঙ্গীর ও হাসমত আলী গ্রপ জমিতে ধান চাষ করেছে। রাজ্জাকের সঙ্গে দীর্ঘ বছর ধরে হামলা মামলা সহ ক্ষতি সাধনের ঘটনা ঘটে বলে জানান।তিনি আরও বলেন ইতি পূর্বেও এভাবেই ধান পুরে দেওয়া হয়েছে। গভীর নলকূপের মালিক দুলাল হোসেনের কাছে জমি গুলো কে ধান চাষ করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন জাহাঙ্গীর ও হাসমত আলী গ্রপ।কে বিষ দিয়ে পুরতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিবাদী আইজুল হকের ছেলে আঃ রাজ্জাকের সঙ্গে দীর্ঘ বছর ধরে জমি নিয়ে মামলা হামলা চলে আসতো তারায় পুরতে পারে ধারনা।
রাজ্জাকের কাছে বিষ প্রয়োগে ধান পুরা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাকে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, আমার জমি তারা জবরদখল করে চাষ আবাদ করেছেন। এবিষয়ে হাসেন বেগপুর ৭ নং ওয়াডের মেম্বার আঃ সালাম এর কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমি গুলোতে জাহাঙ্গীর ও হাসমত আলী গ্রপ ধান চাষ করেছে, এবং রাজ্জাকের সঙ্গে দীর্ঘ বছর ধরে হামলা মামলা ও চলছে।কে পুরতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন রাতের অন্ধকারে কেবা কাহারা বলা কঠিন, কিন্তু ইতিপূর্বে ও পুরেছিল একই ভাবে,যেই হোক আমি ইহার সঠিক বিচার কামনা করি। স্হানীয় স্বচেতন মহল জানান প্রতি বিঘা জমিতে ২৫ মণ করে ধান চাষ হলে ৪০০ মণ ধানের খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঘার্তী।উক্ত বিষয় টি পত্নীতলা থানা ইনচার্জ ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের খাদ্য শষ্য উৎপাদন কারী কর্ম কর্তা সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নেক দৃষ্টি সহ সঠিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।