মোঃ ফিরোজ আহমেদ পাইকগাছা॥ খুলনার পাইকগাছায় হরিঢালীতে কথিত টালী কারখানায় কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর বিষাক্ত ধোঁয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকাবাসী। সরকারী নীতিমালা উপেক্ষা করে চলছে নতুন করে ইট পোড়ানোর সাজসজ্জা অধিকাংশ কারখানা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে এসব অবৈধ কারখানা । পাশাপাশি রয়েছে ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা ও ফসিল জমির চাষ, শুধু তায় নয় প্রকাশ্যে কাটের পাশাপাশি ব্যাবহার হচ্ছে যানবাহনের টায়ার জালিয়ে পোড়ানো হচ্ছে ইট, এতে হুমকির মুখে রয়েছে পরিবেশ, স্বাস্থঝুঁকিতে পড়তে পারে বাবুল ও কালিপদর কারখানার এলাকার আশপাশের মানুষ।
আইন অমান্য করে দিনের পর দিন ইট পোড়ানোর কাজ বন্ধ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্হানীয় বাসিন্দারা। এতে কারখানা মালিকেরা ক্ষিন্ত হয়ে পাশের বাড়ির আলমগীর হোসেনের পরিবারের উপর হামলা করে এক কারখানা মালিক বাবুল মজলিস। কতিথ টালী কারখানার নামে কাট দিয়ে ইট পোড়ানোর অবিরাম নির্গত দূষিত ধোঁয়ায় পার্শ্ববর্তী আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে আলমগীর সরদারের পোল্ট্রী ফার্মের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। ঐসময় তার ফার্মের বেশ কিছু মুরগী মারাও যায়। বাধ্য হয়ে আলমগীর কারখানর মালিক বাবলু মজলিসের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন, যার নং-১১৭২। সর্বশেষ ঐ ঘটনায় বাবলু মসলিস আলমগীরের কাছে ক্ষমা চেয়ে ভবিষ্যতে এমন অপকর্ম করবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দিলে বিষয়টির মিমাংসা করে নেন ।
তবে খুলনা-পাইকগাছা প্রধান সড়কের পাশে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কথিত টালী কারখানার নামে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর কারখানার অবিরাম নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা রীতিমত স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। কারখানার মালিক বাবুল মজলিসের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিজেই বলেন, এটা অবৈধ তবে আমি এই কারখানা ২০/২৫ বছর ধরে চালাচ্ছি ।এলাকাবাসী এব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহনে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা নিবার্হী অফিসার মমতাজ বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সরেজমিনে যেয়ে ৫ দিনের ভিতর কারখানাগুলো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি, যদি না সরিয়ে নেয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ফায়ার সার্ভিস এনে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে সাথে অবৈধ কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।