এনামুল কবীর এনাম বদলগাছী, নওগাঁ॥ গত ০১ নভেম্বর দৈনিক জনকন্ঠ, ২৫ নভেম্বর অনলাইন পোর্টাল বাংলার খবর, ২৯ নভেম্বর দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় “ভাড়া বাড়িতে উঠে নিজের দাবি, আদালতের রায় উপেক্ষা” “আদালতের রায় উপেক্ষা করে জোরপূর্বক বাড়ি দখলের অভিযোগ” ও “বদলগাছীতে ভাড়া থাকতে এসে বাড়ি দখল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন শহীদুল ইসলাম।
এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেছেন, ওইসব প্রতিবেদনে আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ব্যক্তিগত আক্রোশে করা হয়েছে।
আমার জানা মতে যে জায়গাটি নিয়ে বিরোধ চলছে সেটি একটি শত্রুর সম্পত্তি (এনিমি প্রপার্টি)। উক্ত জমি নিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির সাথে সিভিল কোর্টে সরকার বাহাদুরের মামলা চলছে। গাবলু চন্দ্র নামে ৯৫ শতক জমির চেক দিয়েছেন সরকার বাহাদুর। উক্ত জমি গাবলু চন্দ্র বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের নিকট হস্তান্তর করেছেন। হস্তান্তর সূত্রে উপজেলার ডাঙ্গিসারা গ্রামের মৃত জয়েন উদ্দীনের ছেলে মোকলেছার রহমান ৩ শতক জমি প্রাপ্ত হয়। মোকলেছার রহমানের নিকট থেকে রফিকুল ইসলাম প্রাপ্ত হয়ে বাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন যাবত ভোগদখলে রয়েছেন। এমতাবস্থায়, পিন্ডিরা গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হুমায়ুন কবির নিজের বলে দাবি করেন।
শহীদুল ইসলাম বলেন, উক্ত বাড়িটির সঙ্গে আমার কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রোশের জের ধরে ওই প্রতিবেদক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হুমায়ুন কবিরের কথা মতো এমন মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রতিবেদনটি করেছেন। ওই প্রতিবেদনে যাদের নামে মন্তব্য দেওয়া হয়েছে তারা কেউই ওইসব মন্তব্য দেননি। এমনকি এই প্রতিবেদক আমারও কোনও মন্তব্য বা মতামত কিছুই নেন নি। আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে ওইসব পত্রিকার প্রতিবেদক তার নিজের মতো করে এইসব মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন করেছেন। যা মূলধারার সাংবাদিকতা বহির্ভূত। তাই আমি এসব মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে এইসব মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন করার জন্য ক্ষমা প্রার্থনাসহ উক্ত প্রতিবেদন প্রত্যাহারের জোর দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।