![](https://bd-sokal.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বদলগাছী, নওগাঁ প্রতিনিধি॥ নওগাঁর বদলগাছীতে কিশোরী অপহরণ মামলা ধামাচাপা দেওয়া এবং কিশোরীর বাবাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধাইপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রসগুনা গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে উজ্জল হোসেন তার ছোট বোন মিস সাদিয়া আকতার (১৩) কে অপহরণ করার দায়ে গত ১৮ নভেম্বর বদলগাছী থানায় একই ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রকি হোসেনকে ১ নং বিবাদী ও তার সহযোগী হিসেবে একই গ্রামের মজির উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম ও নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার হরিপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে নুরনবীকে বিবাদী করে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে বদলগাছী থানার এএসআই মাসুদ রানা অপহরণকৃত কিশোরী সাদিয়া আকতার ও বিবাদী রকি হোসেনকে উদ্ধার করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার মধ্যস্থতায় অপহরণ মামলাটি নিষ্পত্তি করতে আধাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ কক্ষে এক শালিসী বৈঠক বসে। উক্ত বৈঠকে ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল কবির পল্টনসহ আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা-কর্মী ও এএসআই মাসুদ রানা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য কিশোরীর বাবা-মা ও ভাইকে চাপ সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ কিশোরীর পরিবারের।
এদিকে কিশোরীর পরিবার তাদের কথামতো মিমাংসা করতে রাজি না হওয়ায় আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা-কর্মী ও চেয়ারম্যান রেজাউল কবির পল্টন ওই কিশোরীর বাবা সাইদুল ইসলাম, ভাই উজ্জল হোসেন ও রবিউল ইসলামকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকী প্রদান করেন। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা-কর্মীরা পুলিশের সামনেই কিশোরীর বাবা ও ভাইদেরকে মারধর করতে থাকে। মারধরের এক পর্যায়ে তাদের হাত থেকে আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা কিশোরীর বাবা ও ভাইকে রক্ষা করে। পরবর্তীতে থানায় এসে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগির বাবা সাইদুল ইসলাম।
বদলগাছী থানার এএসআই মাসুদ রানা ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেয়েকে উদ্ধার করে উভয়পক্ষ মিমাংসার জন্য বসেন এবং আপনি থানার সামনে আসেন সাক্ষাতে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল কবির পল্টন এর ফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য পাওয়া যায় নি।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. আতিয়ার রহমান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়ের বাবা একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। আসামী রকি হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।