ইমাম হাছাইন পিন্টু নাটোর॥ যে মানুষটার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখা হয়নি, সেই কিনা হাজির হলেন পেট্টোবাংলার পাশ্ববর্তী ফুটপাতে। মুছে দিলেন এক অসহায় মায়ের ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। না, কোনো আলাদীনের দৈত্য নয়; তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি। সাজেদার বাড়ি প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১নং সুকাশ ইউনিয়নের হাসপুকুরিয়া গ্রামে।
শনিবার টেলিভিশনে খবর দেখেই রোববার সকালে বাস্তুভিটাচ্যুত অসহায় জননী সাজেদার দুঃখের জীবনের ইতি ঘটান তিনি। ফুটপাতেই অসহায় নারীদের পাশে বসে, মাথায় হাত বুলিয়ে স্বপ্ন দেখালেন। রাজনীতির অপার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুললেন কর্মে।
নিজের গাড়িতে চড়িয়ে নিজ এলাকর নাগরিককে ফিরিয়ে নিলেন নীড়ে। দিলেন নগদ ২০ হাজার টাকা। জমির ঝামেলা মিটিয়ে ঘর তৈরী ও পারিবারিকভাবে স্বাম্বলম্বী করে দিতে তিন লাখ টাকা সংস্থানের কথাও নিশ্চিত করলেন তিনি।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী সিংড়া উপজেলায় গৃহহীনদের ১৩৯০টি ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে এবং আরও ৩৮৫ জনকে ঘর করে দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, আমার এলাকায় আপনার মত অসহায় এ মায়ের ঘর হবে না এটা হতে পারে না।
শুধু নিজ এলাকার অসহায় মা-কেই নয় তার ফুটপাত প্রতিবেশীদেরও দিলেন শীতের কম্বল। প্রায় তিন শতাধিক কম্বল বিতণ করেই নয়; উপস্থিত ছিন্নমূল শিশুদের সামনে খুলে দিলেন আলোর দুয়ার। এতিম এক শিশুকে ভর্তি করালেন তেজাগাঁও শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে। নিজেদের ফোন নম্বরসহ সরাসরি যোগাযোগের কার্ড দিয়ে বললেন, ‘হাত পেতে হলেও দরিদ্র অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চেষ্টা করি’।
বরাবরই তিনি মানবিক হওয়ার কথা বলেন। না কথায় নয়; কাজেও প্রমাণ করছেন তিনি। এমন মানবিক উদ্যোগে শীতে কাতর নগরীর ফুটাতে যেনো বসেছিলো চাঁদের হাট।