রিফাত আরেফিন : যশোরের অভয়নগরের বনগ্রামের শাহাজাহান সরদারের ছেলে নাজমুল হোসেনের সাথে বিয়ে হয়েছিল বাধারপাড়া উপজেলার এক নারীর। নাজমুল স্ত্রীকে কৌশলে ভারতের মুুম্বাই শহরের একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছিল। পরে ওই নারীর পরিবার আদালতে মামলা করলে পিবিআই তদন্ত শুরু করে।
একপর্যায়ে পিবিআই এর প্রচেষ্টায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ওই নারীকে। বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে এসব ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি। পরে বিচারক তাকে পরিবারের জিম্মায় দেন।
পিবিআই পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, নাজমুলের সাথে ৭/৮ বছর আগে ভিকটিমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটা সন্তানও রয়েছে। তিন বছর আগে নাজমুল স্ত্রীকে প্রলোভন দেখান মুম্বাই যেয়ে দুজনে চাকরি করবেন। ভালো টাকা উপার্জন করবেন। এই লোভে স্ত্রী চলে যান স্বামীর হাত ধরে। কিন্তু নাজমুল কৌশলে মুম্বাইয়ের একটি পতিতালয়ে স্ত্রীকে বিক্রি করে বাংলাদেশে চলে আসেন। পরে নানা ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকেন ওই নারীর পরিবারকে। একপর্যায়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করা হয় আদালতে। যার তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।
এসআই হাবিবুর রহমান অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পান। একইসাথে পিবিআই এর পক্ষ থেকে মানব পাচার প্রতিরোধে কাজ করে এমন এনজিওর সাথে যোগাযোগ শুরু করা হয়। শেষ পর্যন্ত ওই নারীকে দেশে এনে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি সব ঘটনা খুলে বলেন।
রেশমা শারমিন আরও বলেন, দ্রুতই পিবিআই নাজমুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।