এনামুল হক ছোটন : ময়মনসিংহে পুকুরে গোসল করায় ১০ বছরের এক শিশু তার খেলার সাথী দুই শিশুকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক স্কুল শিক্ষক দম্পতির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে শিশু ইফাদ এর মাতা কামরুন্নাহার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ময়মনসিংহ নগরীর ১ নং ওয়ার্ডের ঢোলাদিয়ায় পাড়ার গত ১৪ অক্টোবর আনুমানিক সকাল ১১ ঘটিকায় স্কুল শিক্ষক মোঃ আনিস মিয়ার পুকুরে গোসল করতে নামে শিশু ইফাদ ও তার খেলার সাথী শিশু তাসিন ও রিয়াদ । গোসল করতে নামার জন্য পুকুরের মালিক আনিস মিয়া ও তার স্ত্রী কল্পনা পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ইফাত (১০) তার খেলার সাথী ঐই দুই শিশুকে ধরে নিয়ে প্রথমে গৃহবন্দী করে, তারপর রশি দিয়ে গাছের সাথে বেধেঁ বাশেঁর লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। আঘাতের এক পর্যায় ইফাত অজ্ঞান হয়ে গেলে,অন্য একজন শিশু পালিয়ে ইফাতের বাড়িতে খবর দিলে তার মা-বাবা ঘটনা স্থলে গিয়ে অজ্ঞান ইফাতকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। আনিস ও কল্পনার নির্মম নির্যাতনে ইফাতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতসহ বাম হাত ভেঙ্গে যায় এবং হাতের চারটি আঙুল মারাত্নকভাবে ফেটে যায়। ইফাতের জ্ঞান ফিরলেও ভয়ে বার বার চিৎকার করে উঠছে। এলাকার লোকজনের অভিযোগ ইতিপূর্বেও এই দম্পতি শিশু এবং অন্যের গবাদি পশুর উপর নির্যাতন করেছে।
এলাকার লোকজনের ভাষ্যমতে, মোঃ আনিস মিয়া মাইজবাড়ী স্কুলের শিক্ষক এবং তার স্ত্রী কল্পনা ময়মনসিংহে অন্য এক স্কুলের শিক্ষিকা।
এ বিষয়ে ইফাতের মা কামরুন্নাহার ময়মনসিংহ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে, ঘটনাস্থল পুলিশের এসআই মোজাম্মেল হোসেন পরিদর্শন করে সত্যতার প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী। ইফাত ও তার খেলার দুই শিশুকে অমানবিক নির্যাতন ও মারধরের ঘটনায় এলাকার স্থানীয় লোকজন আনিস-কল্পনা দম্পতির উপযোক্ত বিচার চাইলেও, থানায় অভিযোগ দায়ের পর থেকে স্কুল শিক্ষক দম্পতি স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায় বিষয়টি দ্রুত মিমাংসার জন্য ইফাতের মা-বাবার উপর চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ইফতার এর মা কামরুন্নাহার জানান, আমার ছোট অবুঝ শিশু না বুঝে পুকুরে গোসল করতে যাওয়ায় এই অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, মেরে তার হাত ভেঙে দিয়েছে আমি এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি প্রশাসনের কাছে আমার এই শিশু বাচ্চার উপর এই অমানবিক নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
