
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি॥ শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের জামলাবাজ গ্রামে দশ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকার কর্মসৃজন কর্মসূচীর মাটি ভরাট নিমার্ণ কাজ বাস্তবায়ন না করেই ৬৫ জন শ্রমিকের মুজরি উত্তোলন করে আত্মসাৎ করায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজনের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত ৪ ডিসেম্বর (রবিবার) সকালে জামলাবাজ গ্রামের বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো নিজাম উদ্দীন গ্রামবাসীর পক্ষে অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করা হয় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর আওতায় ২য় পর্যায়ে বাস্তবায়ন যোগ্য ওয়েজ কর্ন্ট প্রকল্পের অগ্রাধিকার তালিকার অধীনে জামলাবাজ গ্রামের ব্যবসায়ি মতিন মিয়ার বাড়ি হতে নয়া হাটির গফ্ফার মিয়ার বাড়ির সামনা পর্যন্ত রাস্তা ৬৫ জন শ্রমিক দ্বারা নিমার্ণের বরাদ্ধকৃত অর্থ নিমার্ণ কাজ বাস্তবায়ন না করে স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজসে জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন আত্মসাৎ করায় ভোক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ি মতিন মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামের প্যাক কাঁদা যুক্ত রাস্তাটি নতুন ভাবে মাটি ভরাট করার জন্য সরকার বাহাদুর দশ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান সাহেব রাস্তায় এক টুকরি মাটিও ফেলেননি। জামলাবাজ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হক বলেন, বন্যার অজুহাত দেখিয়ে রাস্তার মাটি ভরাট প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হয়নি। কিন্তু সরকারের দেওয়া বরাদ্দ শ্রমিকের নামে উত্তোলন করে আত্মসাৎ হয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবী বরাদ্দকৃত নিমার্ণ কাজের বাস্তবায়ন চাই।
মুদি দোকানী দিলারা বেগম বলেন, বর্তমানে আমাদের গ্রামের চলাচলের রাস্তার একটি ভাঙ্গায় কোমর পানি। শুনেছি মাটি ভরাট করার জন্য দশ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। কিন্তু চেয়ারম্যান সাহেব এ বছর রাস্তায় কোন মাটিই ফেলেননি। কৃষক আজমত আলী বলেন, দু:খের কথা কি আর বলব আমাদের গ্রামের রাস্তার কিছু কিছ ভাঙ্গায় এখনও হাটু এবং কোমর পানি। অনেক কষ্ট করে আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুল-কলেজে আসা যাওয়া করছে।
অভিযোগকারী মো নিজাম উদ্দীন বলেন, আমাদের জামলাবাজ গ্রামের রাস্তায় মাটি ভরাটের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী মাজননী শেখ হাসিনা পরিকল্পনা মন্ত্রীর মাধ্যমে দশ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান সাহেব কাজ না করে স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজসে শ্রমিকদের মজুরির নামে ভূয়া মাস্টার রোল তৈরি করে টাকা উত্তোলন করে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। সুষ্ঠু তদন্ত করে কাজ বাস্তবায়নের জন্য আমি জেলা প্রশাসক এবং দূনীর্তি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার উজ জামান বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রমিকদের মজুরির বিষয়ে তিনি আরো বলেন, শ্রমিকদের নিজস্ব সীম কার্ডে মন্ত্রনালয় থেকে মজুরি দেওয়া হয়।