ভারত থেকে মনোয়ার ইমাম: ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ এর বিচারপতি বিভি নাগারন্ত ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসির জানিয়েছেন কোন মুসলিম মহিলা স্বামী বিচ্ছিন্না তাদের খোরপোশ ন্যায় অধিকার। তাঁরা আরও বলেন যে, বিবাহবিচ্ছেদ মুসলিম মহিলাদের খোরপোশ কোন খয়রাতি দান নয়। তাই তাদের অধিকার কে ১২৫ ধারায়, ভারতে সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। এবং এটি ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা জারি বলে ধরা নেওয়া হয়েছে।
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্য নাগরিক জনাব আবদুল সালাম তার বিবি কে তালাক দিয়ে দেয়। তার পর স্ত্রী তিনি খোরপোশ ন্যায় বিচার পাবার অধিকার নিয়ে তেলেঙ্গানা রাজ্যর নিন্ম আদালতে হাজির হয়। নিন্ম আদালতে খোরপোশ দেবার জন্য নির্দেশ দেয়। তার স্ত্রী কে প্রতি মাসে কুড়ি হাজার টাকা করে দিতে হবে। কিন্তু এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি তেলেঙ্গানা রাজ্য হাইকোর্টে আপিল করেন এবং হাইকোর্ট তার স্ত্রী র দেওয়া খোরপোশ কুড়ি হাজার টাকা কম করে দশহাজার টাকা করেন। কিন্তু এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের কাছে আপিল করেন।
সেই রায়ের বিচার করতে গিয়ে বিচারপতি বিভি নাগারন্ত ও বিচারপতি অগাস্টিন মাসি ভারতের তৎকালীন ১৯৮৫ সালের সাহাবানু মামলা কথা উল্লেখ করেন এবং ১৯৮৬ সালের সাহাবানু মামলার রায় মুসলিম শরিয়ত মোতাবেক হয়েছে কি না তার ব্যাখ্যা করে বলেন যে একসাথে তিন তালাক শরিয়ত মোতাবেক হয়না। এমন কথা পবিত্র কোরআন শরীফের মধ্যে নেই। তাই আবদুস সালামকে তার স্ত্রীর দেওয়া খোরপোশ এর ন্যায় অধিকার দিতে হবে। এবং কুড়ি হাজার টাকা কম করে তা দশ হাজার টাকা দিতে হবে প্রতি মাসে। একইা সাথে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অগাস্টিন মাসি ও বিচারপতি বিভি নাগারন্ত বলেন যে খোরপোশ কোন খয়রাতি নয় বরং সেটা তার স্ত্রী র ন্যায় অধিকার। সেই অধিকার তার পাওনা।