যশোর থেকে মোঃ শফিকুল ইসলাম॥ আজ ২৫ ডিসেম্বর রবিবার শুভ বড় দিন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড় দিন। এই পবিত্র দিনে খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য যিশু জন্ম নিয়েছিলেন। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরাও আজ দিনটি আনন্দ—উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পালন করবে।
যশোর জেলায় ১৬১টির বিভিন্ন গির্জায় আলোকসজ্জা দিয়ে সাজানো হয়েছে। নগরীর গির্জা ও বড় বড় হোটেল আলোকসজ্জা দিয়ে সাজানো হয়েছে। পাঁচতারকা বিভিন্ন হোটেলে বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে বড়দিনের। আজ রাত ১২.১মিনিটে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনে যশোরে ঐতিহ্যবাহী ১৫০ বছরের পুরাতন ক্যাথলিক গির্জায় কেক কাটা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, ক্যাথলিক গিজার্র পালক নরেন জে. বৈদ্য, গিজার্র সভাপতি প্রশান্ত বিশ্বাস, গেগোরী সরদারসহ হাজার হাজার ভক্ত অনুরাগীরা।
বড়দিন উপলক্ষে শহরের খড়কির খ্রিস্টানপল্লিতে এখন উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন বাড়ির সামনে লাগানো হয়েছে সুসজ্জিত ক্রিসমাস—ট্রি, যিশুর জন্মস্থান নাজেরেথের গোয়ালঘরের অনুকরণে তৈরি বাঁশের চৌকোনা বাক্স আর বড় লাল তারা। গির্জার পুরোটা জুড়ে সাজানো হয়েছে বর্ণিল আয়োজনে। চারিদিকে সাজসাজ রব। বড়দিনের একটা অন্যতম আকর্ষণ হলো উপহার দেওয়া ও পাওয়া। সাধারণত ক্রিসমাস ট্রির নিচে উপহারগুলো পরিবারের প্রত্যেকের নাম লিখে রেখে দেওয়া হয়।