নিজস্ব প্রতিনিধি : ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে বিশৃংখলা অবস্থা বিরাজ করছে। শনিবার দুপুরে হাসপাতালে যেয়ে বিশৃংখল অবস্থা বিরাজ করতে দেখা যায়। ওয়ার্ডে নেই কোন সিস্টার নেই কোন ওয়ার্ড বয়। একজন ইর্ন্টানি ডাক্তার রোগী ও রোগীর স্বজনরা ভর্তি টিকিট নিয়ে গেলে কোন রকম চিকিৎসা পত্র দিচ্ছেন। এ দিকে ওয়ার্ডে নতুন রোগী আসলে তাদের বিছানা পত্র দেয়ার বা ভর্তি টিকিট রিসিভ করার কেউ নেই।
শনিবার দুপুর দেটটার হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে যেয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখানে ডিউটিতে আছেন সেবিকা ফাতেমা ও রমিছা। কিন্তু এদের দুজনের কাউকে পাওয়া যায়নি। নতুন রোগী নিয়ে তাদের স্বজনরা ওয়ার্ডে চিৎকার চেচামেচি করছে।
মিনিট বিশেক পর সেবিকা রমিছা আসলেন। তিনি তড়িঘড়ি করে স্ট্রেচারের উপর থাকা আমেরিকা প্রবাসি এক রোগীকে চিকিৎসা পত্র দেয়। তার সাথে ছিলেন একজন শিক্ষানবীশ সেবিকা। তাদের পোষাকে কোন নেমপ্লেট ছিলো না। ওই রোগীকে চিকিৎসা পত্র দিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট স্ট্রেচারের ফেলে রেখে দেয়। এরপর রোগীর স্বজনরা চেচামেচি করলে একজন আয়া এসে ওয়ার্ডের পূর্ব দিকে শেষ সীমানায় একটা বেডের ব্যবস্থা করে।
চেচামেচি শুনে এর পরপরই আরো একজন সেবিকা ওয়ার্ডে আসে। অন্য রোগীর স্বজনদের কাছে সেবিকাদের নাম জানতে চাইলে তারা বলতে পারে না। পরে এক আয়ার কাছে নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন সেবিকা নাম ফাতেমা বলে জানান।
সেবিকা ফাতেমা ও রমিছা শনিবার সকালে ডিউটিতে আসে। এরপর বেশির ভাগ সময় তাদেরকে ওয়ার্ডে পাওয়া যায়নি। শনিবার ওয়ার্ডে কোন ওয়ার্ড বয়ও ছিলো না। ওয়ার্ড বয় ডিউটি ফাঁকি দিয়ে বাইরে চা খেতে গিয়েছিলো বলে জানান রোগীর এক স্বজন। আর সেবিকারা ওয়ার্ডের ভিতরে ড্রেসিং রুমে ঘুমাচ্ছিলেন বলে ওয়ার্ড সূত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগিরা সেবিকা ফাতেমা ও রমিছার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে।