
নিজেস্ব প্রতিনিধি : যশোর শহরের নাজির শংকরপুর হাজারী গেট এলাকার বাসিন্দা এনামুল কবির এর খুটির জোর কোথায় জানতে চাই এলাকাবাসী?
নাজির শংকরপুর হাজারী গেট এর বাসিন্দা মৃত নজরুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ ইনামুল কবির ৩ শতক জমি বিক্রয় বাবদ একই এলাকার বাসিন্দা মো হাবিবুর রহমান এর ছেলে মো: রাকিব রেজা(রিপন) এর নিকট হতে ৬ লাখ টাকা নেই ২০১০ সালে।
ভুক্তভোগী রিপন টাকা দেবার পর এনামুলকে জমি লিখে দেবার কথা বললে কালক্ষেপণ করেন আজ পর্যন্ত লিখে দেননি জমি।
ভুক্তভোগী রিপন বলেন আমি দীর্ঘদিন যাবত টাকা দিয়ে ঘুরছি ইনামুলের পেছন পেছন, এলাকাবাসীদের উপস্থিতিতে স্টামকৃত বাইনা নামা থাকা সত্বেও জমি লিখে দিচ্ছে না বরং আওয়ামিলীগ এর বিভিন্ন নেতা দ্বারা হুমকি দিচ্ছে এবং আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ডেকে এনে ভয় ভিতি দেখানোর চেষ্টা করছে।ইতিপূর্বে অনেক বার এলাকাভিত্তিক সামাজিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন সমাধান করেনি।
এদিকে শংকরপুর হাজারিগেট এলাকার বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় এলাকার প্রায় সকলেই বিষয়টি অবগত আছেন এবং লেনদেনের বিষয়ে সুস্পষ্ট ভাবে জানেন যে রিপন জমি বাবদ এনামুল কে ৬ লাখ টাকা দেই কিন্তু এনামুল জমি লিখে দিতে চাইনা।এ বিষয়ে কইএকবার এলাকাভিত্তিক গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশ করলে তাদেরকে অপমান ও লাঞ্ছিত করে ইনামুল।
এদিকে রামনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা দীন মোহাম্মদ এর ছেলে ভুক্তভোগী ইসরাইল হোসেন তিনি ইনামুলের বড় ভাইয়ের নিকট হতে জমি কেনার পর ইনামুল ইসরাইল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন, এখানেই শেষ নই, ইসরাইল যে জমি কিনেছিলেন সেই জমিতে থাকা গাছ কেটে নষ্ট করে ইনামুল ও তার দুর্দশা ছেলেপেলে এবং বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য মিত্রী নিয়োগ দিলে তাদেরকে ইনামুল ও তার ছেলেপেলে হুমকি ও ভয়ভিতি দিয়ে পাঠিয়ে দেই এখনো পর্যন্ত সেই স্থানে ইটবালু পরে আছে,কোন কাজ করতে পারেননি বলে জানান ওই ভুক্তভোগী ইসরাইল হোসেন। এই বিষয়ে এলাকাবাসী কথা বললে মিথ্যা মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে এনামুল।
ইনামুলের প্রতিবেশী শ্যামল জানায় ইনামুল আমার ক্রয়কৃত বাড়ি প্রবেশের রাস্তাতে পাচিল ও গেট দিয়ে দখল করে নিয়েছে,চলাচল করলে খুবই দুর্ব্যবহার করে,আমি অতিষ্ট হয়ে বাড়িসহ জমি বিক্রয় করতে মনস্থির করি এবং বিভিন্ন ক্রেতা নিয়ে আসলে তাদের সাথেও খারাপ ব্যাবহার করে এবং যেন বিক্রয় করতে না পারি তার জন্য নানাবিধ বাজে কথা বাত্রা বলে থাকে।
এলাকা সুত্রে আরও জানা যায়, ইনামুল ও তার সহধর্মিনী দুজনে মিলেই এই জমিজমা বিষয়ক চক্রান্ত চালায়,আওয়ামিলীগ থাকাকালীন সময়ে কেউ ন্যায্য পাওনা চাইতে এলে তার বউ এর সাথে তোলা বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ছবি দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখান।
ভুক্তভোগী রিপন তার জমি ফেরত না পেয়ে আরও জানায়, আমরা এলাকাভিত্তিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কে নিয়ে গতকাল শুক্রবার সালিশের মাধ্যমে সমাধানের উদ্দেশ্যে বসতে চেয়েছিলাম তাতে ইনামুলের সমর্থন ছিলো কিন্তু গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত হলেও উপস্থিত না হয়ে পুলিশ ডেকে আনে ইনামুল,তারপর মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়াতে পরিবেশ আরও খারাপ হতে শুরু করে পরে আর্মি এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসীরা বলছে এমন চলতে থাকলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা আছে,দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে জোর দাবি জানাচ্ছি ।
চলবে…..