
নিজস্ব প্রতিবেদক :
যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের ভুয়া প্রেসক্রিপশনে সরকারি ওষুধ উত্তোলন করা হচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। যার নেপথ্যে হাসপাতালের কিছু সেবিকা, কর্মচারী ও প্রশিক্ষণার্থী সেবিকা।
বিশ্বস্ত একটি সুত্র থেকে জানা যায়, যশোর ২৫০ শয্যা জেনালের হাসপাতালে সরকারি ওষুধ তোলার একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারী রবিবার ডাঃ আয়শা নামে কোনো চিকিৎসক না থাকা সত্ত্বেও একজন প্রশিক্ষণার্থী সেবিকা ভুয়া প্রেসক্রিপশন ও টোকেন নিয়ে হাসপাতাল ফার্মেসিতে ওষুধ তুলতে আসেন। ফার্মাসিস্টের সন্দেহ হলে ডাঃ আয়শা সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই সেবিকা প্রেসক্রিপশন ফেলে পালিয়ে যান।
ফার্মেসির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ভুয়া প্রেসক্রিপশনে ক্যালবো ৫০০, ওমেপ ২০, ফেক্সো ১২০ এবং মেট্রো ৪০০ ওষুধ নেওয়ার উল্লেখ ছিল। আগের দিন (২৫ জানুয়ারী) নুসরাত নামে আরেক প্রশিক্ষণার্থী সেবিকা ডাঃ মাধবী রানীর স্বাক্ষর নকল করে ওষুধ নিতে এসেছিলেন।
প্রতিদিন ফার্মেসির সামনে নার্সিং পোশাক ও সাদা পোশাক পরিহিত ছেলেমেয়েদের আনাগোনা দেখা যায়। তারা রোগীদের সঙ্গে মিশে প্রেসক্রিপশন নিয়ে সরকারি ওষুধ তুলে নেন। এসব ওষুধ বাইরে পাচার করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
হাসপাতালের ফার্মেসি ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম জানান, প্রশিক্ষণার্থী সেবিকা ও মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের ভুয়া টোকেন তার কাছে জমা আছে। তিনি বিষয়টি বারবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. হিমাদ্রী শেখর সরকার জানান, নকল স্বাক্ষরে ওষুধ তোলার ঘটনা সম্পর্কে তিনি অবগত। প্রকৃত ডাক্তারের স্বাক্ষর ছাড়া কাউকে ওষুধ না দেওয়ার জন্য ফার্মেসি বিভাগে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অনৈতিকভাবে সরকারি ওষুধ তোলার ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে জনসেবায় বড় সংকটের সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতনমহল।