মাহাবুব আলম,স্টাফ রিপোর্টার: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকল ৫০ শয্যা হাসপাতাল যেখানে চিকিৎসা নিতে আসে প্রায় দুই উপজেলার ২ লক্ষ জনসাধারণ মানুষ। প্রতিদিনেই হাসপাতালের বেড ফাঁকা না থাকায় চিকিৎসা নিতে হয় ফ্লোরেই।আর সেই এত বড় সরকারি হাসপাতালে খাবার থেকে শুরু করে ওয়াশরুম, চিকিৎসা,ঔষধ,এবং অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্টের বাণিজ্য থেকেও রেহাই পায়নি সাধারণ রোগীরা। এমন তথ্য বেরিয়ে আসে দুদকের পরিচালিত অভিযানে।
গতকাল (২৬ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে দুদকের চার সদস্যের একটি টিম দুপুর ২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগে অভিযানটি চালানো হয়েছে। এসময় রোগীদের খাদ্য, ওষুধ,ল্যাবসহ সকল বিষয়ে তদন্ত করা হয়।
জেলা দুদকের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন বলেন,কমিশনের অনুমোদনক্রমে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বিভিন্ন অনিয়ম,অসঙ্গতি দেখা গেছে। রোগীদের নিম্নমানের খাবার,ওয়াশরুম অপরিষ্কার,বাইরে থেকে আসা রোগীদের হাসপাতালে সেবা না দিয়ে ল্যাবের টেকনিশিয়ানরা বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার দিয়ে ব্যবসা করে এবং জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তাররা রোগীদের রোগ নির্ণয় করার জন্য বাহিরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাবে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করে অথচ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাবে সব ধরনের রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা থাকলেও সেটা তারা করছেন না।এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ চৌধুরী মুঠো ফোনে জানান,তার স্টাফরা তার কথা শুনছে না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ম্যানেজমেন্টে সমস্যা থাকার কথা স্বীকার করেন এবং বলেন,তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




















