বিজয় মাহমুদ, যশোর : যশোর কেশবপুর উপজেলাধীন জাহানপুর গ্রামের বাসিন্দা মো: রুহুল কুদ্দুস নামে এক মালয়েশিয়া প্রবাসী নিখোজ। পরিবারের আর্তনাদে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ওই প্রবাসীর ভাই (মনু)র কাছে মুক্তিপণ চেয়ে একটি ফোন আসে। সেই ফোন নম্বরে ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণ পরিশোধ করার পর থেকে সে নিখোজ। তার ফোন কল দলে বন্ধ দেখাচ্ছে।
নিখোঁজ হওয়ার পর উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে যশোর কোর্টে প্রবাসীর ভাই জুলফিকার রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। যার মামলা নং সিআর-৪২৪
মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে এ্যাডভোকেট শেখ তাজুল ইসলাম তাজ বলেন, এদেশের সংঘবদ্ধ একটা চক্র অসহায় গ্রামের সহজ-সরল প্রবাসীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে শোনা যাচ্ছে কখনো জিম্মি করছে আবার কখনো মার্ডার করছে। এদের শিকড় শুদ্ধ উপরে ফেলা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
নিখোঁজ প্রবাসীর মা : রোকেয়া বেগম বলেন, আমার ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী, গত ১৭ তারিখে আমার ফোনে একটি ফোন আসে আমার ছেলে আকুতি করে বলে, তাকে জিম্মি করা হয়েছে ৯০ হাজার টাকার দিলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তার মুক্তিপণের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম্বারে এ পর্যন্ত ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছে।
এ বিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী মালয়েশিয়া থাকতো, তাকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়, আমার স্বামীকে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ থেকে এই টাকার যোগান দিতে জায়গা জমি বিক্রি করতে হয়েছে আমাদেরকে।
আমার স্বামী জীবিত আছে না মারা গেছে আমি জানিনা। তবে মুক্তিপণের শেষ টাকা ৯০ হাজার দেওয়ার আগে আমাদেরকে একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও কলে দেখানো হয়েছিল। আমার স্বামীকে অনেক অত্যাচার করছে।
নিষ্ঠুর অত্যাচারের ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম তাই বাধ্য হয়ে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে ছিলাম। এই আশায় আমার স্বামীকে মনে হয় তারা জীবিত ছেড়ে দেবে কিন্তু এখন পর্যন্ত সে জীবিত আছে কিনা আমি বলতে পারতেছি না।
প্রবাসীর বড় বোনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভাই বিদেশে জিম্মি হয়, এবং আমার ভাইকে জিম্মি করে অনেক টাকায় আমাদের কাছ থেকে আদায় করেছে জিম্মি কারীরা। আমার ভাইয়ের মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার পর থেকে আমরা ভাইয়ের কোন খোঁজখবর পাইতেছি না আমার ভাইয়ের ফোনে কন্টাক্ট করলে বন্ধ দেখাচ্ছে।