আল-আমিন (বাবু) লালমনিরহাট॥ লালমনিরহাট জেলার আদিতমারীতে ১৫ বছরের মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছেন অষ্টম শ্রেণির এক দাখিল মাদ্রাসা ছাত্রী। এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় তাকে একনজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা বহু মানুষ। উপজেলার দুর্গাপুর দীঘলটারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে তার নাম ছিল খাদিজা কিন্তু নতুন নাম রাখা হয়েছে ইউসুফ আলী। সে স্থানীয় শঠিবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ওই এলাকার কামরুজ্জামানের দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।
সরেজমিনে জানা যায়, কৃষক কামরুজ্জামানের আট ছেলে-মেয়ের মধ্যে চারজন শৈশবেই মারা যান। বড় মেয়েকে ও ছেলেকে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়ে স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো। গত দুই মাস থেকে তার শারীরিক পরিবর্তন শুরু হলেও তা গোপন রাখা হয়। ১৫/২০ দিন আগে জুলেখা ঢাকায় তার বড় ভাইয়ের বাড়িতে যায়। সেখানকার বিভিন্ন মাজার ও মসজিদ পরিদর্শন করেন সেখানকার খাদেমকে বিষয়টি জানায় হঠাৎ তার লিঙ্গ মেয়ে থেকে ছেলেতে পরিবর্তিত হয়ে আসছে। সে তার মাকে, চাচীকে ও খালাকে বিষয়টি জানায়। লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে নিয়ে ঢাকা থেকে দুর্গাপুরে আসেন।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তাকে এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ ভিড় জমায়।
তার চাচা হোসেন আলী জানান, কয়েক মাস পর খাদিজার শরীরে পরিবর্তন আসে। পরে ঢাকায় গিয়ে লিঙ্গ পুরোপুরি বদলে যায়। আজ ঢাকা থেকে এসেছে। তাকে দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমায়। আমরা এতে অনেক বিড়ম্বনায় পড়ছি।
প্রতিবেশী মিথুন বলেন, হঠাৎ শুনলাম সে মেয়ে থেকে ছেলে হয়েছে। তাই আমরা দেখতে এসেছি। এখন অনেকেই তাকে দেখতে আসছেন। তার খালা ছাদেকুন্নাহার বলেন, আমরা সবাই আল্লাহকে বিশ্বাস করি। আমিও এটা বিশ্বাস করেছিলাম। এখন মানুষের ভিড়ে তাকে ঘরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
তার নানী নুরজাহান বেগম জানান, ঢাকায় তার খালা মেয়েটি ছেলে হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করছেন। আজ বাসায় আসার পর থেকে মানুষের ভিড়ে খুব বিরক্ত হয়েছি। আমি বাড়িতে থাকতে পারি না।
এ ব্যাপারে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি তবে বিষয়ে আরো খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করছি।