
মোঃ মাসুম বিল্লাহ : জাতির বিবেক খামছে ধরেছে, আধুনিকতার শকুন। আধুনিকতার নামে স্বেচ্ছাচারী মনোভাব মানুষকে করছে পদদালিত। কাজী কাদের নেওয়াজের শিক্ষক আজ ব্যবসার প্রধান হাতিয়ার। শিক্ষা বাণ্যিজ্যের রমরমা ব্যবসা তাকে করে অপমানিত। “শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর” এ কথা আজ আধুনিকতার সবচেয়ে বড় দাসত্ব। মানুষ না গড়ে এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গড়ে এ+। এ+ ধারি যন্ত্র এখন জাতির ভবিতব্য। আর এ ভবিব্যের দায়িত্ব ন্যাস্ত শিক্ষকের কাঁধে।
আমি শিক্ষক না শ্রমিক? নিজেকে বড়ই শ্রমিক মনে হয়। শিক্ষক বড় পরিধির ব্যাপার। শিক্ষক হয়ে উঠা আর হল না। শিক্ষা বাণিজ্যে শিক্ষকের সংজ্ঞা বদলে গেছে। দেশগড়ার কারিগর এখন এ+ গড়ার দিনমজুর। শিক্ষকের সম্মান ছিল সবার উপরে, সে অনেক দিন আগের কথা। এখন সে কথা ইতিহাস। এখন সময় বদলেগেছে। শিক্ষক এখন পদে পদে লাঞ্চিত চাকুরী হারানোর ভয়। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণে শিক্ষা পণ্য, শিক্ষক এখন সেলস ম্যান। শিক্ষার যাঁতাকলে নিষ্পেষিত বেকারত্বের সুযোগে সুবিধাবাদী সম্প্রদায় এখন সুবিধা কুড়াই। ব্যবসার একটা ইতিবাচক দিক আছে; ব্যবসায়ীরা কখনো ঠকতে চাই না। যার ফলে ভালো ফলরূপি শিক্ষার হার বাড়ছে। শিক্ষার ফল নাইবা হল ফলপ্রসূ, লাভতো কিছু হল (এ+ বাড়ল)। এ লাভের লোভে ব্যবসায়ী যে কোন পথে হাটতে রাজি, হোক সে পথ ভাল না হয় খারাপ। তাতে কার কী? ছোটবেলায় পড়েছিলাম শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। মেরুদণ্ড গড়ে যে শিক্ষক সে আজ মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়েছে। আর মেরুদণ্ড ছাড়া মানুষ সোজা হয়ে চলতে পারে না। এই মেরুদণ্ডহীন শিক্ষা দিয়ে আমরা কী পারব নিজেকে বদলাতে? দেশ ও জাতি সেখানে অনেক বড় বিষয় !