শেরপুর প্রতিনিধি॥ শেরপুরে পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী ও পথচারী আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নিহত ছাত্রদল কর্মী নয়ন মিয়া হত্যার প্রতিবাদে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলের বাসা থেকে জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
শহরে নাশকতা ঠেকাতে ওই মিছিলে বাঁধা দেয় পুলিশ। এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। এসময় বিক্ষোব্ধ নেতা কর্মীদের থামাতে পুলিশ লাঠি চার্জ করেন।
লাঠিচার্জে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হয়ে পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে পুলিশও পাল্টা টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এসময় পুলিশ অন্তত ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেন। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ পুলিশ সহ প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী ও পথচারী আহত হয়।
এদিকে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে শহরের রাস্তাঘাটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং বিভিন্ন দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল জানান, অতি উৎসাহিত হয়ে পুলিশ অহেতুক লাঠি চার্জ ও গুলি চালিয়েছে।
এদিকে এএসপি সার্কেল (সদর সার্কেল) আ. হান্নান মিয়া এ বিষয়ে বলেন, বিক্ষোভ মিছিলের নামে শহরে নাশকতার চেষ্টা করছিল বিএনপি। তার পুলিশের উপর হাজার হাজার ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে পুলিশের ৭ সদস্য আহত হয়েছেন। এঘটনায় দায়ীদের অবশ্যই খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।