কাকন সরকার, শেরপুর : ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী পর্যটনের আনন্দে তুলশীমালার সুগন্ধে শান্তিপ্রিয় উত্তরের হিমালয়ান উঁচুনিচু পাহাড়ি অঞ্চলের জেলা শেরপুর শীতের জেলা হিসেবে পরিচিত। এই জেলায় শুরু হয়েছে মিষ্টি শীতের আমেজ। ভোর বেলা হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ। নতুন ধানের শীষে জমে থাকা শিশির বিন্দু মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিচ্ছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) ভোর ৬টার দিকে স্থানীয়রা বলছেন, প্রকৃতি এবার বেশ মনোমুগ্ধকর আবেশ নিয়েই শীতের আগমনী বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে।
ভোর বেলা সাদা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে দূরের জনপদ। চোখ মেললেই কুয়াশা মাখা আর শিশির ভেজা প্রকৃতি। হালকা মোলায়েম শীতের বাতাশে দুলছে গাছের পাতা।
নতুন ধানের শীষ আর পাতায় পাতায় জমে থাকা শিশির বিন্দু মনে করিয়ে দিচ্ছে শীতের পিঠা পার্বণের কথা। ফুটতে শুরু করেছে ধান। আগাম ধানের শীষে ধরেছে হলুদ রং। শুরু হয়েছে নানা রকমের ফুল আর পাখিদের আনাগোনা।
ভোর বেলা হালকা শীতের কাপড় গায়ে রাস্তায় চলছে শিশুদের হাঁটাহাঁটি। আমেজ ছড়ানো শীতের প্রকৃতির সাথে মানুষের অভূতপুর্ব মাখামাখি। এমন দৃশ্যই এখন বিরাজ করছে শীতের জেলা হিসেবে খ্যাত শেরপুরে। স্থানীয়রা বলছেন, হালকা মধুর শীতের আবহ বিরাজ করছে এই জেলায়। এখন শীত উপভোগের সময়।
শীত উপভোগ করতে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে গজনী অবকাশ ও মধুটিলা ইকোপার্ক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের আনাগোনা। এসময় বিভিন্ন জেলা থেকে শীত উপভোগ করতে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন শেরপুরে। তাদের জন্য নানা রকমের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। শীত উপভোগ করতে শেরপুরে বেড়াতে আসার আহ্বান জানালেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।