বাংলাদেশ সকাল
শনিবার , ৬ জুলাই ২০২৪ | ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আবহাওয়া
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি বার্তা
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. খোলা কলাম
  9. জাতীয়
  10. ধর্ম ও জীবন বিধান
  11. নির্বাচন
  12. বিনোদন
  13. রাজনীতি
  14. শিল্প ও বাণিজ্য
  15. সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

সাতক্ষীরার মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধে শাহজাহান মাস্টারের ভূমিকা

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
জুলাই ৬, ২০২৪ ৯:৪১ অপরাহ্ণ

 

আব্দুল্লাহ আল মামুন, দেবহাটা প্রতিনিধি: মহান মুক্তিযুদ্ধে সাতক্ষীরা অনকে মুক্তিযোদ্ধারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু এর ভূমিকার নেপথ্যে মূল কারিগর হল ক্যাপ্টেন শাহাজাহান মাষ্টার। শাহাজাহান মাষ্টার ছিলেন অদম্য সাহসী ও মেধাবী।তিনি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরুণ তকবগে যুবকদের ডেকে নিয়ে মুক্তি যুদ্ধের অংশগ্রহণ করাতেন। তিনি অসংখ্যক যুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি সর্বপ্রথম তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাতক্ষীরা মহাকুমার মুজাহিদ ক্যাপ্টেন ছিলেন। একই সাথে তিনি দেবহাটা থানার টাউন শ্রীপুর শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ৭ই মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের পর পরই তিনি তার মুজাহিদ বাহিনী নিয়ে টাউন শ্রীপুর হাই স্কুলে একটি ক্যাম্প তৈরি করেন। এরপর শুরু হয় এলাকার যুবকদের নিয়ে ট্রেনিং দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করানো। তৎকালীন সময় বিভিন্ন এলাকার শিক্ষিত অশিক্ষিত যুবক ছেলেদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করানোর জন্য তাকে অনেকেই সহযোগিতা করেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন দেবহাটা থানার কামটা গ্রামের সনৎ কুমার সেনগুপ্ত (সন্তু বাবু),পাইকগাছা আওয়ামী লীগ এমপি এমএ গফুর, ইপিআরের নায়ক সুবেদার আইয়ুব আলী, দেওয়াটা থানার পারুলিয়া গ্রামের তৎকালীন পোস্ট অফিসের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মোঃ আতিয়ার রহমান, তৎকালীন দেবহাটা থানার ওসি হায়েজ উদ্দিন, এ এফ এম ইন্তাজ আলী, এবং শেষে এসে যোগ দেন তৎকালীন এম এল এ, স ম আলাউদ্দিন।অনেক সময়ে গড়িয়ে যাওয়ার পরে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার টাকিতে গড়ে তোলা হয় মুজাহিদ ক্যাম্প বা মুক্তিযুদ্ধা ক্যাম্প। পরে তৎকালীন বাংলাদেশ এর অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমেদ এর স্বাক্ষরিত সেক্টর গঠনের সময় ৯ নম্বর সেক্টরের টাকি ক্যাম্পের লিখিত দায়িত্ব দেন ক্যাপ্টেন শাহাজান (মুজাহিদ) কে।(সূত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিল পত্র একাদশ খন্ডে ৭৩৪ পৃষ্ঠায়।৯নং সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন সেক্টর উপ কমান্ডার হিসাবে।  ৯নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর এম এ জলিল রচিত ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’ বইয়ে সাতক্ষীরার কয়েকজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকের নাম উল্লিখিত হয়েছে। ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টার ছিলেন অদম্য সাহসী ও অকুতোভয় সৈনিক। ক্যাপ্টেন শাহাজাহান মাষ্টারের নেতৃত্বে দূরদর্শিতায় দ্রুত মুক্ত হয় এই অঞ্চল।

কিন্তু সাতক্ষীরা মুক্তি যুদ্ধের রচিয়তা কে ভূলে যেতে শুরু করেছে। সাতক্ষীরা প্রশাসন তার মৃত্যু দিনটা ও স্বরণ করে না। শুধু তার গ্রামের বাড়িতে এবং টাউন শ্রীপুর হাই স্কুলে ২৩ শে জুলাই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং স্থানীয় জনগণের নেতৃত্বে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়।

একজন প্রবীণ বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান,  শাহাজাহান মাষ্টার ছিলেন সাতক্ষীরার মুক্তি যুদ্ধের প্রাণ পুরুষ। তার অদম্য সাহসীকতায় এই অঞ্চল দ্রুত পাকবাহিনী মুক্ত হয়েছে। কিন্তু সেই মানুষটাকে কেউ স্মরণ করে না। দুংখজনক শাহাজাহান মাষ্টার কে বাদ দিয়ে সাতক্ষীরা মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব না। শাহাজাহান মাষ্টার ছিলেন থাকবেন আমাদের মাঝে।

(চলবে)

সর্বশেষ - এক্সক্লুসিভ

আপনার জন্য নির্বাচিত

ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এবং মানিগ্রামের ভুয়া রিসিটে অভিনব প্রতারণা, ধরা খেল সিআইডি’র জালে

রাণীনগরে সাংবাদিক কাজী আনিছুরের পিতার ইন্তেকাল

যশোরের বারান্দীপাড়া থেকে দু’টি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার

বাবার বাড়ি যাওয়ায় স্ত্রী’র শরীরের ২৮ স্হানে কোপালো স্বামী 

পাইকগাছায় বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল জব্দ 

নিসচা ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার সড়ক সপ্তাহ পালন উপলক্ষে শিক্ষার্থী সমাবেশ

নাটোর ৪ আসনে এমপি মনোনয়নে শতভাগ আশাবাদী জাকির হোসেন 

সমস্যা সমাধানে মুহুর্তেই হাজির মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত ইএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম

আমতলীতে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত 

রামগড়ে তিন করাতকল মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা