
কাইয়ুম চৌধুরী, সীতাকুণ্ড(চট্টগ্রাম)॥ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড সদরস্হ উপজেলা ডাকঘরের গ্রাহকরা এফডি এর টাকা তুলতে গেলে পোষ্ট মাষ্টারের হয়রানির শিকার হয়ে ডাকঘর গ্রাহকরা চরম ভোগান্তির কবলে পড়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগকাদের সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা সদরের উপজেলা ডাকঘরের পোষ্ট মাষ্টার আসাদুজ্জামান শাহ্ বদলি হয়ে আসার পর থেকে গ্রাহকদের সেবা না দিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানির করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ ডাকঘরের কোন গ্রাহক এফডি এর টাকা মেয়াদত্তীর্ণ হওয়ার লাভ আসল তুলতে গেলে তারা কোন প্রকার উৎকোচ না দিলে পোষ্টা মাষ্টার কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করে না। তাছাড়া ৩ বছর মেয়াদী এককালীন ২,৩,৫ ও ১০ লাখ টাকা জমা রাখার পর ৩ মাস অন্তর অন্তর সঞ্চয় পত্র, পেনশন সঞ্চয় পত্র ও পরিবার সঞ্চয় পত্রের টাকার লাভ তুলে নেয়। কিন্তু মেয়াদী উত্তীর্ণ শেষে মূল টাকা তুলতে গেলে গ্রাহকদের কাছে মেয়াদত্তীর্ণ টাকা ভেদে ২ হাজার থেকে ৪/৫ হাজার টাকা দাবী করেন, এমনটি জানিয়েছেন অভিযোগ কারীরা। আর টাকা দিতে না পারলে গ্রাহকদেরকে টাকা নেই বলে ৩ মাস পর আসতে বলেন।তখন মানুষ মেয়াদ উত্তীর্ণ টাকা গুলো নিয়ে পাবে কি পাবে এই ভেবে দিশেহারা হয়ে যায়।
এমনি ভাবে পৌরসদরের কলেজ রোডের সীতাকুণ্ড ডিগ্রী কলেজের দপ্তরী দিলীপ থেকে এফডির টাকা বাবত ২ হাজার টাকা, বাদলের মেয়ে থেকে এফডি এর আড়াই হাজার টাকা, আল আমিন ফার্মেসীর মালিক নজরুল ইসলামের কাছ থেকে এফডি এর টাকা তোলার জন্য ২ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ।
এছাড়া নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক অনেকে পোষ্ট মাষ্টারের চরম হয়রানির শিকার হয়েছেন।এমনকি টাকা না দিলে তারা মেয়াদত্তীর্ণ টাকা পেতে ৩/৪ মাস ধরে হয়রানির শিকার হতে হয়। তারপরও টাকা তুলতে অনেক ভোগান্তির কবলে পড়তে হয়। তবে যারা অসহায় নিরীহ তারা বাধ্য হয়ে টাকা না দিয়ে উপায় থাকে না বলে হয়রানির শিকার গ্রাহকরা জানান। প্রয়োজনে সবাই সাক্ষ্য দিবেন বলেও জানান।।
এদিকে হয়রানির শিকার হওয়া কলেজের দপ্তরী দিলীপ ও ফার্মেসীর নজরুল জানান, আমি উৎকোচ টাকা না দেয়ায় অনেক দিন হয়রানির শিকার হই এবং পরে বাধ্য হয়ে পোষ্ট মাষ্টারকে ২ হাজার টাকা দিলে তিনি আমার পাওনা টাকা বুঝিয়ে দিতে আমাকে আর ঘুরাঘুরি করেননি।
এব্যাপারে পোষ্ট মাষ্টার আসাদুজ্জামান শাহ্কে প্রশ্ন করলে তিনি অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।