সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি॥ সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের এক কর্মচারীকে চোরাইকৃত একলাখ সত্তর হাজার টাকা মূল্যের ঔষধ পাচারকালে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত কর্মচারীর নাম মো.মোস্তাফিজুর রহমান । সে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স (ব্রাদার) হিসেবে কর্মরত ছিল।
পুলিশ জানায়, ২৮ ডিসেম্বর বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার সময় জেলা সদর হাসপাতালের ষ্টোররুম থেকে ঔষধ চুরি করে সুনামগঞ্জ পৌরসভার ময়নার পয়েন্টস্থ বাসায় এনে রাখার সময় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার টহলরত এসআই জিয়াউর করিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মোস্তাফিজুর রহমান নামে এই কর্মচারীকে হাতেনাতে পাচারকৃত ঔষধসহ তাকে আটক করে। জেলা সদর হাসপাতালের নিয়মিত ঔষধ চুরির চাঞ্চল্যকর এ খবরটি সারা শহরে ছড়িয়ে পড়লে ষ্টোরকিপার সোলেমান আহমদ ২ লাখ দিয়ে ঔষধ চুরির মামলা ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠে।
২ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে চুরির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা ও ষ্টোররুম থেকে রাতের বেলা মোস্তাফিজুর রহমানকে দিয়ে ঔষধ পাচারের ব্যাপারে ষ্টোরকিপার সোলেমান আহমদের মুঠোফোনে কল করলে তিনি বলেন,আমি এ ব্যাপারে কোন কিছু বলতে পারবোনা। আপনারা আরএমও স্যারের সাথে কথা বলেন।
এ ব্যাপারে ঘটনার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রফিকুল ইসলাম (আরএমও) সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,পুলিশের হাতে ঔষধসহ আটককৃত মোস্তাফিজুর রহমান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স। পুলিশ আমাকে বলেছে,তাকে সন্দেহজনক কারণে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এক লাখ সত্তর হাজার টাকা মূল্যের ঔষধ পাচারকালে হাতেনাতে আটক করে মোস্তাফিজুর রহমানকে আমরা ফৌজধারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছি। বিষয়টি যেহেতু দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আওতায় এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি সরকারী সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী সেহেতু পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সিলেট সমন্বিত কার্যালয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে প্রতিবেদন দাখিল করেছি।