ষ্টাফ রিপোর্টার॥ চট্রগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড খন্দকার পাড়া মৌলানা শহিদুল ইসলামের সাথে তছলিমা আক্তারের ইসলামের শরিয়তের বিধান মোতাবেক ২ বছর পুর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
২৪/১২/২০২২ইং তারিখ মৌলানা শহীদুল ইসলাম তাহার স্ত্রীর সাথে কথাবলে। শহীদুল ইসলামের স্ত্রী তাহার পিত্রালয়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে। শহীদুল ইসলাম ২৪/১২/২০২২ইং তারিখ রোজ শনিবার সকাল ৭.০০ ঘটিকার সময় তাহার শশুর বাড়ীতে বেড়াতে যায়।
ইতিপূর্বে তছলিমা আক্তারের বড় ভাই রাশেদুল ইসলাম, শহীদ, রায়হান, আরিফ ও তছলিমা আক্তারের পিতা মাতার কথা শুনে কোন কারণ ছাড়া বিগত ২১/১২/২০২২ইং তারিখ বাঁশখালী মিথ্যা যৌতুকের মামলা করে। মাওলানা শহীদুল ইসলাম মামলার খবর পেয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আপোষ সূত্রে বিগত ২২/১২/ ২০২২ইং তারিখ রোজ বৃহ:স্প্রতিবার বাঁশখালী কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান।
তাদের দাম্পত্য জীবনে বর্তমানে একটি ১ বছর ৩ মাসের ছেলে সন্তান জীবিত আছে। কয়েকমাস তাহারা সুখকর জীবন যাপন করিলেও শহীদুল ইসলামের স্ত্রী মৌলানা শহিদকে সব সময় মানসিক চাপে ফেলে বলে যে, তোমার পিতা মাতা থেকে আমাকে পৃথকান্নে খাওয়াতে হবে।
স্ত্রীর কথা শুনে মৌলানা শহিদুল ইসলাম শহরের মধ্যে বাসা ভাড়ায় থেকে যায়। কয়েকদিন যেতে না যেতে বিগত দশ পনের দিন পুর্বে কোন কথা বার্তা ছাড়া শহীদুল ইসলামের স্ত্রী তাহার পিত্রালয়ে চলে আসে।
আপোষ সূত্রে জামিন পেয়েছে বিধায় মাওলানা শহীদুল ইসলাম তাহার স্ত্রীর সাথে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলে।
সে সুযোগ পরিকল্পিত ভাবে কাজে লাগিয়ে তছলিমা আক্তার ও তছলিমা আক্তারের ভাই ভ্রাদার এবং তছলিমা আক্তার পিতা মাতা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাহাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে সকলে মিলে প্রথমে বিষপান করায়। বিষ পান করানোর পর শহীদুল ইসলামের মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়ায় তাহাকে সকলে মিলে হাত পা বেধে ব্লিইড দিয়ে হাতে, পায়ে, সমস্ত শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গে শরীর কাটা রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত জখম করে ফেলে।
পরবর্তীতে শহীদুল ইসলামের পিতা খবর পেয়ে তার শাশুর বাড়ীতে গিয়ে শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে। বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে আসামীগণ টাকা ও ক্ষমতার জোরে বাঁশখালী মেডিকেলে ভর্তি করতে দেয় নাই। পরবর্তীতে শহীদুল ইসলামের জীবন মৃত্যুর সংকটাপন্ন হওয়ায় তাহাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের তিন তলায় ১৩ নং ওয়ার্ডে ৪৬ নং সিটে ভর্তি করানো হয়, বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে। শহীদুল ইসলামের পিতা মাওলানা হাফেজ নুর হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানতে পারি যে, বর্তমানে হাফেজ শহীদুল ইসলাম মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
মাওলানা শহীদুল ইসলামের বাড়ী বাঁশখালী ৭নং সরল ইউপির মিনজিরীতলা, ৫নং ওয়ার্ডে অবস্থিত।
শহীদুল ইসলামের পিতা আরো জানাই যে, সকল আসামীদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া চলমান বলে জানা গেছে। শহীদুল ইসলামের মায়ের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে, এই ঘৃণ্যতম কাজের আসামীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করেন।