শফিকুল ইসলাম স্বাধীন॥ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ২০ গ্রামের কৃষকদের হাওরের বেরীবাঁধ বহাল রাখার দাবীতে মানববন্ধন।
(১৩ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,২০১৭ সালে অকাল বন্যায় হাওরের সকল ফসল ডুবে যাওয়ায় ২০১৮ সাল অর্থাৎ বিগত ৪ বছর ধরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বর্ধিত গুরমা হাওরের বেরীবাঁধ মেরামতের ফলে ২০টি গ্রামের কৃষক পরিবার নির্বিঘ্নে বোর ফসল উত্তোলন করে আসছিল এবং সরকারের সহযোগীতার সফল ভোগ করে আসছে।
কিন্তু চলতি অর্থবছরে হাওরপাড়ের কৃষকগণ গত ১০ ডিসেম্ভর শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে গণশুনানী অনুষ্টানে জানতে পারেন যে,বর্ধিত গুরমা হাওরে চলতি বছরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ফসলরক্ষা বেরীবাঁধ হবে না বলে জানতে পেরেছেন কৃষকরা।
উপজেলাধীন দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বর্ধিত গুরমার হাওরে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের রামসিংহপুর, হুকুমপুর, জাঞ্জাইল ভাবানীপুর, সন্তোষপুর, শিবপুর, লামাগাঁও মোয়োজ্জেমপুর, জয়শ্রী, উত্তিয়ারগাঁও, নোয়াগাঁও ও দুমালসহ ১২টি গ্রামের ১ হাজার ৫০০ কৃষক পরিবার এবং পার্শ্ববর্তী মধ্যনগর উপজেলার দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের কাউহানি, চাপাতি, বীরসিংহপাড়া, সানুয়া, মাখরদি, ঘাসি, বাসাউরা ও নিশ্চিন্তপুর সহ ৮টি গ্রামের প্রায় ১ হাজার ১০০ পরিবার উল্লেখিত হাওরে বোর ফসল চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
এমতাবস্থায় হাওরপাড়ের কৃষকগণ আগাম বন্যার কবল থেকে বোর ফসল রক্ষায় নিয়ে আশঙ্কায় ও দুশ্চিন্তায় আছেন।
তাই চলতি বছরে বিগত ৪ বছরের ন্যায় টাঙ্গুয়ার ওয়াচ টাওয়ার হতে নোয়াল গলগলিয়া উলান,কলমার হাওরে বেরীবাঁধ পূণনির্মাণ ও মেরামত কাজ করে দেয়ার জন্য দাবী তুলেছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তাহিরপুর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আইরিন আক্তার, রামসিংহপুর গ্রামের কৃষক মুস্তাফিজুর রহমান খোকন, হুকুমপুর গ্রামের কৃষক আবুল কালাম, তফাজ্জল হোসেন, মাহমুদপুর গ্রামের কৃষক রুবেল মিয়, দুর্লভপুর গ্রামের কৃষক মহসিন রেজা মানিক, রামসিংহপুর গ্রামের কৃষক নান্টু তালুকদার প্রমূখ।