এনামুল কবীর এনাম, নওগাঁ : নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ৪ নং মিঠাপুর ইউনিয়নে প্রতিবুন্ধি ভাতা প্রদানে ঘুষ গ্রহন,এলাকায় তোলপাড়।
জানা গেছে বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫,৬ নং ওয়াডের মহিলা মেম্বার মোসলেমা আক্তারের বিরুদ্ধে ৮ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহনের পর প্রতিবুন্ধি ভাতা না হওয়ায়, গত ৫ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেন ৫ নং ওয়াডের গন্ধর্বপুর গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার স্ত্রী বিধবা অসহায় রেবেকা সুলতানা।তিনি দুই সন্তানের জননী স্বামী কে অকালে হারিয়ে অতি কষ্টে দিনাআতীপাত করে থাকেন। দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে মাসুম রব্বানী মানসিক প্রতিবুন্ধি।যাহার আইডি নং ২০০৫৬৪১০৬৮৪১২৮৪১৭-০৩
অভিযোগ ও রেবেকার বাড়িতে গিয়ে জানা যায় প্রতিবুন্ধি ভাতার কার্ড করার জন্য আমি যোগাযোগ করি সে বলে ৮ হাজার টাকা হলে হবে।আমি সেই প্রত্যাসায় তিন মাসের সময়ে প্রতিবেশি একজনের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা হাওলাত নিয়ে দিয়েছিলাম।
কিন্তু কার্ড করে দেননি মহিলা মেম্বার মোসলেমা।৮ হাজার টাকা ফেরত চাহিলে বিভিন্ন তালবাহানা করেন, মর্মে অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলপনা ইয়াসমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ টি তদন্তের জন্য সমাজ সেবা কে দায়িত্ব দিয়েছি, সঠিক তদন্ত এলে সঠিক পদক্ষেপ নিব।
সমাজ সেবা অফিসার রাজিব আহম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ টি ইউএনও সার আমাকে দিয়েছে আমি সঠিক তদন্তের জন্য কাজ করছি। গতকাল গন্ধর্বপুর গ্রামের রাজ্জাক, জহুরুল সহ গ্রামবাসীর কাছে জানতে চাইলে তিনারা বলেন, আমারা জানি মহিলা মেম্বার মোসলেমা টাকা গ্রহন করেছেন।রেবেকা একজন বিধবা অসহায় দুই ছেলে কে নিয়ে অধিক কষ্টে দিন পার করে।
বিষয় টি ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে ইউনিয়নের সদস্যা মোসলেমার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ হয়েছে আপনি বিষয় টি কিভাবে দেখছেন। তিনি দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি এনাম কে বলেন, আমাকে ইউএনও সাহেব জানিয়েছে আমি তদন্ত কারী কর্মকর্তা সমাজ সেবা অফিসার কে সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।কারন তাকে এর আগেও সতর্ক্য করেছিলাম।
উক্ত অভিযোগ বিষয়ে মহিলা মেম্বার মোসলেমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ টি মিথ্যা।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবীব তার স্ত্রীকে দিয়ে নির্বাচনে আমার প্রতিদুন্দী করিয়েছিলেন, নির্বাচনে হেরে আমার বিরোধিতা করেন।এবং তিনি রেবেকা সুলতানা কে সঙ্গে নিয়ে এসে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। মোসলেমা আরও বলেন আমি একা হাজার টাকা নিয়েছি।
উক্ত বিষয়ে মিঠাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবীবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন কিছুই জানিনা। এবং কাউকে নিয়ে গিয়ে কোন অভিযোগ করি নাই।ঘুষ গ্রহন সঠিক হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা হোক আশাবাদী । ৫ নং ওয়াডের মেম্বার এরশাদ আলী মজনুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৮ হাজার টাকা নিয়েছে বলে লোক মারুফতে জেনেছি।
স্হানীয় গ্রামবাসী সহ অধিকাংশ নারী পুরুষ জানান গত ঈদের রিলিফের চাল বিক্রি করেছেন, সরকারি এানের টিন তিন বান্ডিল বিক্রি করেছে শুনেছি। স্হানীয় এলাকার স্বচেতন মহল জানান রেবেকা সুলতানার প্রতিবুন্ধি ছেলে মাসুম রব্বানী মানসিক এবং অসহায় পরিবার কে ভাতাটির সুব্যাবস্হা নিতে সমাজ সেবা অফিসার ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের প্রতি প্রত্যাশা করেছেন। এরিপোট লেখা পর্যন্ত বিষয় টি এলাকায় তোলপাড় চলছে।
সম্পাদক : মীর দিনার হোসেন (যুগ্ম আহবায়কঃ সর্বস্তরে স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন আন্দোলন), মোবাইল: ০১৫৮১-২৪৪২০০ * প্রধান সম্পাদক : মির্জা গালিব উজ্জ্বল ( সদস্য সচিবঃ সর্বস্তরে স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন আন্দোলন) মোবাইল: ০১৭২৮-৭৭৫৯৯০।
মেইল: bangladeshsokal@gmail.com, web: www.bd-sokal.com
Copyright © 2025 বাংলাদেশ সকাল. All rights reserved.