মেহেরপুর অফিস॥ বছরের প্রথম দিন ভূল আল্ট্রাসনোগ্রাম পরিক্ষায় বাচ্চা দুই থেকে এক হয়ে গেছে। এই নিয়ে রোগীর পরিবারের ভিতরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বছরের শুরুতেই ঘণঘাঠা অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে মেহেরপুর টেকনো ডায়াগন্সটিক সেন্টার বলে অভিযোগের আঙুল তুললেন মেহেরপুর সদর উপজেলা বুড়িপোতা ইউনিয়নের শালিকা গ্রামের বিদেশ ফেরৎ মিঠুন নামের এক ভূক্তভোগী।
তিনি টেকেনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে অভিযোগ করেন বাংলাদেশ সকালের কাছে। মিঠুনের বক্তব্যর ভিত্তিতে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে তিনি বাংলাদেশ সকালকে বলেন,"আমার ওয়াইফের বাচ্চা সম্ভবনা দেখা দিলে আমি কয়েক বার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করি। এই সময় গায়নি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পারভিনা আক্তার ও এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর বিপুল কুমার বিশ্বাস বলেন, আমার ওয়াইফের পেটে দুটো বাচ্চা আছে। আমি আমার বাচ্চাদের মাকে নিয়মিত পরিক্ষা ও পরিচর্যার মধ্যে রাখি। গত শনিবার দুপুরের পর বাচ্চাদের মা অসুস্থ মনে করলে আমি দ্রুত মেডিনোভা নার্সিং হোমে ভর্তি করলে দায়িত্বরত ডাক্তারের পরামর্শে আবারো আল্ট্রসনোগ্রাফি পরিক্ষা করতে টেকনো ডায়গন্সটিক ফারুক সাহেবের কাছে গেলে তিনি এই পরীক্ষা করেন।
উল্লেখ্য, টেকনোর এই টেকনোলজিস্ট ফারুক হোসেন মেহেরপুর হাসপাতালে ম্যাডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন সেই সাথে নিজেই টেকনো ডায়াগন্সটিক ল্যাব এর মালিক ও পরিচালক হিসাবে টেকনো ডায়গন্সটিক পরিচালনা করছেন।
ভুক্তভোগী মিঠুন বলেন, আমি রিপোর্ট করিয়ে ডাক্তার কে দেখানো মাত্র ডাক্তার বললেন " আপনি ভালো পারদর্শী টেকনিশিয়ান দ্বারা আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান।" পরবর্তীতে রাবেয়া মেডিকেলে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করালে বাচ্চা দুটো ধরা পরে। রবিবার সন্ধ্যায় সিজারের মাধ্যমে গর্ভবতী মায়ের পেট থেকে সিজার করার মাধ্যমে দুটো মেয়ে শিশু সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে পৃথিবীর আলোয় আসে।
পরবর্তী ভুক্তভোগীরা টেকনো ডায়াগন্সটিক সেন্টারে গেলে টেকনো ডায়াগন্সটিক সেন্টারের জামাল নামের একজন তেড়ে এসে ভূক্তভোগীকে মারতে উদ্যত হয়। এই সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সহযোগিতায় ভূক্তভোগী এই উদ্ভূদ পরিস্থিতি থেকে বেঁচে ফিরে যায়।
ভুক্ত ভোগী মিঠুন বলেন, গর্ভবতী মায়ের পেটে বাচ্চা আছে দুটো কিন্তু টেকনো ডায়াগন্সটিক সেন্টারের রিপোর্ট ভূল হয়েছে টাকা ফেরৎ নিতে আসলে ঝামেলা তৈরি হয়। টেকনো ডায়াগন্সটিক সেন্টারের ফারুক হোসেন নামের এই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এর নামে জামায়াতের অর্থ প্রণেতা বলেও অভিযোগ আছে বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যায়। জামায়াতে ইসলামীর সাথে সক্ষতা প্রতিনিয়ত দিনের আলোতে দৃশ্য মান। ফারুক হোসেন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসাবে কর্মরত আছেন।
সম্পাদক : মীর দিনার হোসেন (যুগ্ম আহবায়কঃ সর্বস্তরে স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন আন্দোলন), মোবাইল: ০১৫৮১-২৪৪২০০ * প্রধান সম্পাদক : মির্জা গালিব উজ্জ্বল ( সদস্য সচিবঃ সর্বস্তরে স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন আন্দোলন) মোবাইল: ০১৭২৮-৭৭৫৯৯০।
মেইল: bangladeshsokal@gmail.com, web: www.bd-sokal.com
Copyright © 2025 বাংলাদেশ সকাল. All rights reserved.