আনিছুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম : দিনদিন নগরীতে বাড়ছে নানা অঘটন ঝুঁকিঝামেলা, নিরাপত্তাহীনতায় নগরবাসী।চুরি, ছিনতাই, মলমপার্টি, অজ্ঞানপার্টি'সহ নানা কু চক্র আতংকে আতংকে নগরবাসী।সেইসাথে বেড়েছে পকেটমারে দৌরাত্মা। এসব পকেটমারের ছোবলের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কেউই। সাংবাদিক, প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বশীল, ভিন্ন পেশাজীবি'সহ সাধারণত মানুষ সকলেই যত্রতত্র পড়ছে পকেটমারের ছোবলে। প্রকাশ্য নিরবে নিভৃতে প্রতিনিয়ত ভুক্তভোগী হচ্ছে অনেকেই।
সাংবাদিক পটেকমারের ফাঁদে!সাধারণ কেউ-ই নিরাপদ নয়! প্রশাসন নিরব! বিষয়টি স্পর্শকাতর ও অবিশ্বাস্য! গল্প সিনেমা নাটক নয় বাস্তবেও সত্য।সাংবাদিক নিজেই পরিস্থিতি শিকার। নিজেই ভুক্তভোগী।
আমার পেশাগত কাজের দুইটি মোবাইল পটেকমার হলেও ছিনতাইকারীর চেয়ে ভয়ানক কায়দায় সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়। সাবধান সতর্ক থাকার পরওে ভদ্রছদ্মবেশী পকেটমার এর ফাঁদে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সকলের সবরকম সহায়তা ও সুদৃষ্টি আশা করছি।
গতকাল ১০ফেব্রুয়ারি, বিকাল সাড়ে ৫টায়। কোতোয়ালি থানাধীন ৩নং বাস হতে।কাজির দেউড়ি এলাকা থেকে পূর্ব পরিকল্পিত কৌশলে চোখের পলকে দুইটি মোবাইল ব্যাগ থেকে নিয়ে নেয়।
ঘটনাক্রমে, "দৈনিক দেশের কথা" পত্রিকার মোহাম্মদ মাসুদ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার এর ২টি মোবাইল হাতিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগীর জানায়,আমার মোবাইল ২টি আগে থেকেই পকেটমার চক্র ফলো করে। ৬/৭জন পকেটমার সিন্ডিকেট কর্তৃক মোবাইল দুইটি আগে দেখে। আমাকে নজরে রাখে। কিছু বুঝে উঠার আগেই সুকৌশলে চোখের পলকে ২টি মোবাইল হতিয়ে নেই।
আমি পূর্ব পরিকল্পিত চোর চক্রের ফাঁদে পড়েছি তাদের বেশবুশায় কিছুই বুঝতে পারলাম না।নির্মম করুণ উদ্ভুদ পরিস্থিতির শিকার। যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
আমার মতো আরো অনেকেই শিকার।পথেঘাটে চলাচলে যানবাহনে বিন্দুমাত্র নিরাপত্তা নেই। বাস কর্মচারী থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের অপক্ষমতা ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে যায় ধরাছোঁয়ার নাগালের বাহিরে।
নিরাপত্তাঝুঁকিতে চরম বিষাদ তিক্ত অভিজ্ঞতায় সাধারণ জনসাধারণ। প্রতিনিয়তই ঘটছে এমন অঘটন। শত অঘটনেও অভিযুক্ত ও এসব অপরাধীরা সুকৌশলে হাতিয়ে নেয় কখনো টাকা কখনো মোবাইল সুযোগ পেলে সবকিছুই।
কিছুই যেন কারোই করার নেই। ভুক্তভোগী জনসাধারণ আইন প্রশাসন সকলেই জানেন এর নেপথ্যে কাহিনী। আসল সত্যতা নিশ্চিত বাস্তবতায় কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। আমার মতো ভুক্তভোগীদের কতটা নিষ্ঠুরতা ও অনুকূলতার অভিজ্ঞতায় পূর্ণ।
গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে সবসময়ই সজাগ সচেতন থাকি সবকিছুতেই। কিন্তু তারপরেও বিশ্বাস হচ্ছে না আমার এমন অঘটন। অপূনীয় ক্ষয়ক্ষতির শিকার। ২টি মোবাইল ৮/১২৮ সেট মেমোরি ও আরো অতিরিক্ত মেমোরি কার্ডে ফুল ছিল ডকুমেন্টসে পূর্ণ। যা পেশাগত কাজের অতি প্রয়োজনীয় গুরুত্বপপূর্ণ বিশেষ দরকাররী জরুরি ডকুমেন্টস।এক অবিশ্বাস্য অদ্ভুদ পরিনিতি ভারসাম্যহীন পরিস্থিতি শিকার কি করে হলাম? বুঝতে পারলাম না কিছুতেই।
তেমনি মানসিক বিপর্যয় ও মনকষ্ট পেলাম অনেক। শত কোটি প্রশ্ন জাগে মনে।ভুক্তভোগীদের কথায় শুনেছি আইনের সেবা সুবিধা পেতে ভোগান্তি হয়রানীর শিকার হতে হয়।
বাস্তবে পরিণতিতে আমি নিজেও তা উপলব্ধি করেছি। প্রসানের গাফিলতি অবহেলায় নিষ্ক্রিয়াতায়। থানায় সরাসরি উপস্থিত হয়ে ঘন্টাখানেক সময় ব্যায়ের পর শেষ হয় ধারাবাহিক অফিসিয়াল অভিযোগের রিসিভ কপি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অভিযোগ করলেও রাত ১১টায় এসআই জানেনা ঘটনার বিষয়ে কোন কিছুই।
থাবায় উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত সবকিছুই বলেছে ভুক্তভোগী নিজেই। কিন্তু অভিযোগ মামলা না নিয়ে নিল সাধারণ ডায়েরি।
যা হওয়ার তাই হলো। তা-ই-ই হবে। রয়ে যাবে কিছু কালোছায়ায় স্মৃতি। ধরি মাছ না ছুই পানি। এ পর্যন্ত কোন আশ্বাস সারা কিছুই পাইনি। সবাই হল কপাল বাস্তবরূপে এমনই হয় সবারই হাল। সরেজমিনে আমার মতোই ভুক্তভোগী অনেকেই। এ-সব আপত্তি অভিযোগ রয়ে যায় তদন্তের নামে দীর্ঘ সময়ের ফাঁদে।গতকালে ঘটনা এখন পর্যন্ত কেউই-ই জানেন কিছু-ই।
সকলের মতো আমিও পেলাম নিয়মিত প্রাপ্য অধিকার। দায়িত্ব পালনের জটিলতায় দায়িত্বহীনতা অবহেলার অনিশ্চিত সময় সমাধান খবরের ফাঁকে।
তীব্র মানসিক বিপর্যয় যন্ত্রণায়। সকলের দীর্ঘায়ু শুভ কামনায়। মোহাম্মদ মাসুদ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক দেশের কথা
প্রশ্ন সাধারণত মানুষের কি অবস্থা? বাস্তবে পরিস্থিতিতে কতটা নিরাপদ কতটা ঝুঁকিতে?
সম্পাদক : মীর দিনার হোসেন (যুগ্ম আহবায়কঃ সর্বস্তরে স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন আন্দোলন), মোবাইল: ০১৫৮১-২৪৪২০০ * প্রধান সম্পাদক : মির্জা গালিব উজ্জ্বল ( সদস্য সচিবঃ সর্বস্তরে স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন আন্দোলন) মোবাইল: ০১৭২৮-৭৭৫৯৯০।
মেইল: bangladeshsokal@gmail.com, web: www.bd-sokal.com
Copyright © 2025 বাংলাদেশ সকাল. All rights reserved.