বাংলাদেশ সকাল
বৃহস্পতিবার , ৮ আগস্ট ২০২৪ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. কৃষি বার্তা
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. খোলা কলাম
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন বিধান
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাস
  14. বিনোদন
  15. বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

অন্তর্বর্তী সরকারের ১৬ উপদেষ্টার পরিচয়

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
আগস্ট ৮, ২০২৪ ৯:৫২ অপরাহ্ণ

ডেস্ক নিউজ : বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর শপথ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নেন ১৬ জন।

উপদেষ্টা পরিষদের ১৬ সদস্য হলেন–বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, এ এফ হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন, পরিবেশকর্মী ও আইনজীবী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, হেফাজতে ইসলামের সাবেক নায়েবে আমির আ ফ ম খালিদ হাসান, মানবাধিকার কর্মী আদিলুর রহমান খান, সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদিপ চাকমা, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ফরিদা আখতার, ফারুক ই আযম, ড. বিধান রঞ্জন রায়, নুরজাহান বেগম, নির্বাচন পর্যবেক্ষক শারমিন মুরশিদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

এক নজরে ১৬ উপদেষ্টা:

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ:

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নরের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৬৩ সালে এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক পাস করেন এবং ১৯৬৯ সালে একই বিষয়ে এমএ পাস করেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পরে তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনে সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান (সিএসপি) ক্যাডারে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে কানাডার হ্যামিল্টন শহরে ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম. সাখাওয়াত হোসেন:

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম. সাখাওয়াত হোসেন ১৯৪৮ সনের ১ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সনে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রায় দু’বছর পাকিস্তানের বন্দি শিবিরে কাটিয়ে ১৯৭৩ সনে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১৯৭৫ সনের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ৪৬ ব্রিগেডে স্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৭৯-৮১ সনে ঢাকায় সেনাসদরে গুরুত্বপূর্ণ পদে অপারেশন ডাইরেক্টরেট নিয়োজিত হন। পরে তিনি ব্রিগেডের অধিনায়ক হিসেবে দুটি ইনফেনট্রি ব্রিগেড ও একটি আর্টিলারি ব্রিগেডের অধিনায়ক ছিলেন। লেখক বাংলাদেশের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করে দ্বিতীয়বারের মত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিখ্যাত ইউ এস এ কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ জেনারেল কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। তিনি পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডিফেন্স এ ডি সি ইসলামাবাদ ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে মাস্টার্স এবং ২০১১ সনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্, ঢাকা থেকে এমফিল ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিরাপত্তা, ভূ-রাজনীতি এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষণধর্মী কলাম ও বইয়ের লেখক হিসেবে অধিক পরিচিত। এ পর্যন্ত তার তেইশটি বহুল পঠিত বই প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া দেশী-বিদেশী ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনীতি এবং নির্বাচন বিষয়ে বিশ্লেষক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। ২০০৭ সনের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সনের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার রয়েছে। ২০০৮ সনের জাতীয় এবং স্থানীয় সরকারের পাঁচ হাজারের বেশি নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা।

ড. আসিফ নজরুল:

ড. আসিফ নজরুলের জন্ম ১২ জানুয়ারি ১৯৬৬ ইংরেজি। তিনি একজন লেখক, ঔপন্যাসিক, রাজনীতি-বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। জীবিকাসূত্রে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক। জন্মসূত্রে তার নাম মোঃ নজরুল ইসলাম। টিভি টক-শো ও তার কলামে সাহসী রাজনীতি বিশ্লেষণের জন্য তিনি বিশেষভাবে খ্যাত। তিনি দশের অধিক গ্রন্থের রচয়িতা। তিনি মুক্ত চিন্তা ও আইনের শাসনের প্রবক্তা হিসেবে বিশেষ পরিচিত। দাম্পত্য সঙ্গী রোকেয়া প্রাচী ( ২০০১ ইং থেকে ২০১২), শীলা আহমেদ (২০১৩)। আত্মীয় হুমায়ূন আহমেদ (শশুর), মুহম্মদ জাফর ইকবাল (চাচা শশুর), আহসান হাবীব (চাচা শশুর), নুহাশ হুমায়ূন (শ্যালক)।

শিক্ষা: ড. আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক ও ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ১৯৯৯ সালে সোয়াস (স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ) ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে তার পিএইচডি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে জার্মানীর বন শহরের ইনভায়রনমেন্টাল ল’ সেন্টার থেকে তিনি পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ অর্জন করেন। তিনি স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে একজন কমনওয়েলথ ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।

কর্মজীবন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পূর্বে ১৯৯১ সালে আসিফ নজরুল একটি বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক পত্রিকা বিচিত্রায় কাজ করতেন। তিনি কিছু সময় বাংলাদেশ সরকারের একজন সরকারি কর্মকর্তা (ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবে কাজ করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিডিয়ায় তাকে প্রায়ই দেখা যায়। যেমন: বিবিসি, সিএনএন এবং আল জাজিরা ইত্যাদি। ইউএনডিপি, এডিবিসহ মানবাধিকার সংস্থা, আইনের শাসন, পরিবেশগত সমস্যা ইত্যাদি ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে তার কনসালট্যান্ট হিসাবে কাজ করার অনেক অভিজ্ঞতা আছে।

এ এফ হাসান আরিফ:

এ এফ হাসান আরিফ ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ এফ হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৬৭ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।

এ এফ হাসান আরিফ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ, নির্মাণ সালিশ, বাণিজ্যিক সালিস, অর্থ, ব্যাংকিং এবং সিকিউরিটিজ বিষয়, করপোরেট, বাণিজ্যিক ও ট্যাক্সেশন বিষয়, সাংবিধানিক আইন বিষয়, পাবলিক আসাদন, আরবিট্রেশন এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানের অন্যান্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন।

তৌহিদ হোসেন:

তৌহিদ হোসেন একজন সাবেক আমলা। তিনি ২০০৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯ সালের ৮ জুলাই পর্যন্ত তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ফরেন সার্ভিস একাডেমির প্রিন্সিপাল হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১২ সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।

তৌহিদের জন্ম ১৯৫৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। তিনি ১৯৯৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম দফায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন। ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক শিলং বাণিজ্য মেলায় যোগ দিয়েছিলেন। তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতে অবৈধ অভিবাসীদের ভারতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্কের উন্নয়নের অভাবের জন্য ভারতের সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করেন।

২০০৭ সালের ২৯ ও ৩০ আগস্ট পাকিস্তানে তৌহিদ হোসেন একটি প্রতিনিধিদলের সভায় যোগদান করেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান:

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে রয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী এবং একজন পরিবেশবিদ।

রিজওয়ানা হাসানের পৈতৃক নিবাস হবিগঞ্জ। তিনি ১৯৬৮ সালের ১৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ মহিবুল হাসান। তার স্বামী আবু বকর সিদ্দিক একজন ব্যবসায়ী।

রিজওয়ানা হাসান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৯৩ সালে এলএলএম সম্পন্ন করার পর বাংলাদেশের বাইরে বেশ কয়েকটি ফেলোশিপ কোর্স সম্পন্ন করেছেন। ২০০৭ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আইজেনহাওয়ার ফেলোশিপ করেন।

রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ‘পরিবেশ পুরস্কার’ এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ’ প্রাপ্ত এবং ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে টাইম সাময়িকীর ‘হিরোজ অব এনভায়রনমেন্ট’ খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশি আইনজীবী ও পরিবেশকর্মী। এছাড়া তিনি ২০১২ সালে র্যামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার পান।

তিনি জলাশয় ভরাট করে আবাসন তৈরি, পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহার, পাহাড় কাটা, বন ধ্বংস, চিংডির ঘের, সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে যেখানেই পরিবেশের ক্ষতি সাধিত হচ্ছে বা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানেই তিনি এবং তার নেতৃত্বে বেলা, পরিবেশ রক্ষায় আইনিভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বেলার প্রধান নির্বাহী ছাড়াও ফেডারেশন অব এনজিওস ইন বাংলাদেশ-এর সহসভাপতি। এছাড়া তিনি ‘নিজেরা করি’ সংগঠন ও অ্যাসোসিয়েশন অব ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট-এর একজন সদস্য। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিকভাবে ফ্রেন্ডস অব আর্থ ইন্টারন্যাশনাল-এর নির্বাহী সদস্য; এনভায়রনমেন্টাল ল’ অ্যালায়েন্স ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং এনভায়রনমেন্টাল ল’ কমিশন অফ দ্য আইইউসিএন-এর সদস্য।

আ ফ ম খালিদ হোসেন:

আ ফ ম খালিদ হোসেন ইসলামি অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয়। আ ফ ম খালিদ হোসেনের মূল নাম আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ খালিদ হোসেন। তিনি ১৯৫৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের মক্কার বাড়ির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

আ ফ ম খালিদ হোসেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমীর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা, মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক, বালাগুশ শরকের সহকারী সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের কুরআনিক সায়েন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অতিথি শিক্ষক। তিনি ওমরগণি এমইএস কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের খণ্ডকালীন অধ্যাপক এবং নেজামে ইসলাম পার্টির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন।

বিশ্ব মুসলীম লীগের মুখপাত্র দ্যা ওয়ার্ল্ড মুসলিম লীগ জার্নালসহ বিভিন্ন সাময়িকীতে তার দুই শতাধিক গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষ দ্বিতীয় সংস্করণের ৩ থেকে ৯ খণ্ড ও সীরাত বিশ্বকোষ সম্পাদনা করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০টি।

বাবুনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালইয়ে ভর্তির মাধ্যমে আ ফ ম খালিদ হোসেনের শিক্ষাজীবনের সূচনা হয়। এখানে তিনি তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত তিনি আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ায় লেখাপড়া করেন। ১৯৭১ সালে সাতকানিয়া আলিয়া মাহমুদুল উলুম মাদ্রাসা থেকে প্রথম বিভাগে আলিম ও ১৯৭৩ সালে ফাযিল পাশ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত চট্টগ্রাম চন্দনপুরা দারুল উলুমে হাদিস অধ্যয়ন করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে কামিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।  তিনি হাকীমুল উম্মত খ্যাত মাওলানা আশরাফ আলী থানভীর শিষ্য মুহাম্মদ আমিনের কাছে সহীহ বুখারী, চট্টগ্রামের মীরসরাই থানার নিজামপুর এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমান নিযামীর কাছে সহীহ মুসলিম, ইসমাইল আরাকানী কাসেমীর কাছে সুনান আত-তিরমিজী, নাওয়াব হাসান কাসেমীর কাছে সুনানে আবু দাউদ পড়েছেন।

আদিলুর রহমান খান:


আদিলুর রহমান খান মানবাধিকারকর্মী হিসেবে সমধিক পরিচিত। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা আদিলুর রহমান খানের জন্ম ১৯৫২ সালে। সাবেক এই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হোসেন মোহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে হেফাজত-ই-ইসলাম বাংলাদেশের শাপলা চত্বরে বিক্ষোভের সময় নেতা-কর্মীদের অপসারণের অভিযানে নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তি ছড়ানোর’ অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।

সুপ্রদীপ চাকমা:

১৬ উপদেষ্টাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্তব্যরত। ২০২৩ সালে ২৪ জুলাই তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সুপ্রদীপ চাকমার জন্ম ১৯৬১ সালে খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। সুপ্রদীপ চাকমা বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি সপ্তম বিসিএসে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত ছিলেন সুপ্রদীপ চাকমা।

ফরিদা আখতার:
বেসরকারি সংস্থা উবিনীগের (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য। ফরিদা আখতারের জন্ম চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার হারলা গ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছেন। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের অবস্থা জানা এবং পরিবর্তনের জন্য নীতিনির্ধারণী গবেষণা ও লেখালেখিই তাঁর কাজের প্রধান জায়গা। নারী উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য সম্পদ, তাঁত শিল্প, গার্মেন্টস শিল্প ও শ্রমিক, জনসংখ্যা এবং উন্নয়নমূলক বিষয়ে নিবিড়ভাবে দীর্ঘ প্রায় তিন দশক ধরে কাজ করছেন।
ফারুক-ই-আজম :
ফারুক ই আজমের জন্ম চট্টগ্রামে। বাবা মনির আহমদ চৌধুরী, মা জান্নাতুল ফেরদৌস। স্ত্রী শামিম আরা বেগম। তাঁদের চার মেয়ে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনাকালে ফারুক-ই-আজম উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। সে সময় তিনি খুলনায় ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে তিনি চট্টগ্রামে পৌঁছান।

৬ মে তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের হরিণা ইয়ুথ ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। এই অবস্থায় তিনি একদিন শুনলেন, নৌবাহিনীর জন্য মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুট করা হবে। তিনি লাইনে দাঁড়ালেন। টিকে গেলেন। পলাশিতে দুই মাসের প্রশিক্ষণ শেষে ১ আগস্ট অপারেশনের জন্য তাঁকে মনোনীত করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সমন্বিত যুদ্ধাভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’। সারা দেশে একই সময়ে সব বন্দরে একযোগে আক্রমণ চালানো হয়েছিল। চট্টগ্রাম বন্দরে আক্রমণের জন্য ২০ সদস্যের তিনটি দল নির্বাচন করা হয়। একটি দল চট্টগ্রামে এসে পৌঁছাতে পারেনি। বাকি দুটি দলের ৩৭ জন সদস্য অংশ নেন। অধিনায়ক এ ডব্লিউ চৌধুরী। উপ-অধিনায়ক ফারুক-ই-আজম।

নৌ-কমান্ডোদের সঙ্গে ছিল ছয় কেজি ওজনের লিমপেট মাইন। বিশেষ ধরনের চুম্বক দিয়ে জাহাজের গায়ে মাইনটি লাগিয়ে প্লাস্টিকের মুখটি খুলে দিতে হয়। এই অপারেশনে পাকিস্তানি তিনটি বড় জাহাজ—আল আব্বাস, হরমুজ ও কাদের বক্স এবং জেটি পন্টুন, বার্জ ও কোস্টাল শিপ ডুবিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। এসব অপারেশন মুক্তিযুদ্ধে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ঘটনাটি আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হয়।

ডা. বিধান রঞ্জন রায়:

ডা. বিধান রঞ্জন রায় বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক।

তিনি ১৯৬৩ সালে সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে সুনামগঞ্জ জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৮১ ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এছাড়া তিনি ১৯৮৮ সালে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন।

তিনি পূর্বে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।

নুরজাহান বেগম:

নূরজাহান বেগম ২০১০ সালে চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যা তিনি পেয়েছিলেন ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে। তিনি এখন গ্রামীণ পরিবারের একটি অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ শিক্ষার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প শুরুর সময় তিনি ড. ইউনূসের প্রথম সারির সহযোগীদের একজন ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন এ শিক্ষার্থী গ্রামীণ ব্যাংকের তৃণমূল গোষ্ঠীতে দরিদ্র গ্রামীণ নারীদের সংগঠিত ও প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি অনেক দেশে মাইক্রো-ক্রেডিট প্রোগ্রামের পরামর্শদাতা, প্রশিক্ষক এবং মূল্যায়নকারী হিসেবে কাজ করেছেন এবং বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সম্মেলন এবং সেমিনারে বক্তৃতা দিয়েছেন। তিনি গ্রামীণ ফাউন্ডেশন কর্তৃক সুসান এম. ডেভিস লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০০৮ লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি ওয়ার্ল্ড সামিট মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস অ্যাওয়ার্ড ২০০৯ এবং ভিশন অ্যাওয়ার্ড ২০০৯-এ ভূষিত হন। তিনি ২০০৭ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত ফরচুন মোস্ট পাওয়ারফুল উইমেন সামিটে অংশগ্রহণ করেন এবং স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় অনুষ্ঠিত ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিস পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতি নিযুক্ত হন ২০০৭ সালে।

শারমিন মুরশিদ:
অধিকার ভিত্তিক সংগঠন ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে রয়েছেন শারমিন মুরশিদ। সংস্থাটি ২০০১ সাল থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি বিশেষ করে আদিবাসী জনগনের অধিকার আদায়ে কাজ করে আসছে।
তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের সময় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার ও নানা অনিয়ম নিয়ে কথা বলেছেন। দেশি‑বিদেশি গণমাধ্যমে তাঁর মতামত ও পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে প্রচার হয়। সবশেষ ৭ জানুয়ারি ২০২৪ এর নির্বাচন বিষয়ে আমেরিকার একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এই নির্বাচনকে নির্বাচন বলি না।’ বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়।
মো. নাহিদ ইসলাম :
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. নাহিদ ইসলাম ফাহিম। মাত্র ২৬ বছর বয়সে জাতির ‘কাণ্ডারি’ হয়ে স্বৈরাচারের কবল থেকে ১৬ কোটি জনগণকে মুক্ত করেছেন তিনি। ‘মুক্তিদাতা’ হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের মানুষের কাছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা কে এই নাহিদ ইসলাম? কিভাবে সাধারণ আন্দোলনকারী থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হলেন, চলুন জেনে নেই-
মিষ্টভাষী ও মিশুক প্রকৃতির যুবক নাহিদ। বক্তব্য দানে বেশ পটিয়সী। কর্মসূচির নাম নির্ধারণে বেশ বৈচিত্র্য দেখিয়েছেন তিনি। আন্দোলনে সুশৃঙ্খলভাবে সমন্বয় করতে পেরে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন নাহিদ।
নাহিদ ইসলামের ডাকনাম ‘ফাহিম’। সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন তিনি। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। জন্ম ১৯৯৮ সালে ঢাকায়। বাবা শিক্ষক। মা ঘর সামলে সন্তানদের মানুষ করেছেন। ছোট এক ভাই রয়েছে তার। নাহিদ বিবাহিত।
মাসখানেক আগেও বাংলাদেশের হাতেগোনা কয়েকজন মানুষই জানতেন নাহিদের নাম। সেই নাহিদই এখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন।
গত মাসে যখন কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল তখন প্রাথমিকভাবে নাহিদ ততটা পরিচিত মুখ ছিলেন না। কিন্তু জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় নাহিদকে ‘অপহরণ’ করার পর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়কের নাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে তাকে দু’বার আটক করা হয়। প্রথমবার, ১৯ জুলাই সাদা পোশাকধারী বেশ কয়েকজন লোক তার এক বন্ধুর বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। চোখে কাপড় বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে তার উপর অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়। দু’দিন পর পূর্বাচলে একটি ব্রিজের তলায় নিজেকে আবিষ্কার করেন নাহিদ। এরপর নিজেই কোনোরকমে একটি রিক্সায় উঠে বাড়িতে ফেরেন। দ্বিতীয়বার, ২৬ জুলাই ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনকারী ছাড়াও নাহিদ ইসলামের রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়। তিনি গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় নেতা। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে বেরিয়ে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয়েছিল গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি।
আসিফ মাহমুদ:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এবং আলোচিত সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। আন্দোলনের সময় সামাজিকমাধ্যমে বেশ সরব দেখা গেছে তাকে। বিভিন্ন সময় ফেসবুক লাইভে এসে আন্দোলনকারীদের নির্দেশনা দিয়েছেন আসিফ।
পুরো নাম আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র সমন্বয়ক থেকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা’ হয়েছেন তিনি।
আসিফ মাহমুদের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মোঃ বিল্লাল হোসেন ও মাতার নাম রোকসানা বেগম। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও কলেজটির বিএনসিসি ক্লাবের প্লাটুন সার্জেন্ট ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আসিফ ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র কেন্দ্রীয় নেতা। ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর আত্মপ্রকাশ করে দলটি।

সর্বশেষ - এক্সক্লুসিভ

আপনার জন্য নির্বাচিত

ভূরুঙ্গামারীতে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঘুরছে বানর 

চট্টগ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষক সমাবেশ : আবারও কান্ডজ্ঞানহীন সময় ও স্থান নির্বাচন 

ইসলামপুরে ট্রেনের বগিতে কাটা পড়ে কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যু

রাণীশংকৈলে রাতোর ইউনিয়নে জাতীয় যুব সংহতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ১০৩ জনের রক্তদান, প্রশংসায় ভাসছেন ছাত্রলীগের রাব্বী

­জলঢাকায় পূজা উদযাপন পরিষদের সম্মেলনে সভাপতি পলাশ, সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয়

পাঁচবারের এমপিকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় যুবলীগ নেতার দুধ দিয়ে গোসল

শিবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

নারায়ণগঞ্জে বিআইডব্লিউটিএ গুদামে আগুন ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ করে

ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র লড়তে উপজেলার চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ