![](https://bd-sokal.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
তানভীর রশীদ তূর্য, ডোমার (নীলফামারী): নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নে এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত কমিটির তদন্তে ওই অভিযোগের সত্যতার কথা জানা গেছে।
অভিযোগ মতে, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী ও ২৩ জানুয়ারী বিদ্যালয়টির কম্পিউটার ল্যাব-অপারেটর, অফিস সহায়ক, আয়া ও ঝাড়ু-দার পদে এক জন করে মোট চারটি পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই নিয়োগে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রনজিৎ অধিকারী (দিলীপ), প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম, ডিজির প্রতিনিধি ডোমার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানা বিলকিস বানু যোগসাযোস করে ৬০ লাখ টাকা নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে গোপনে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও বামুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আলী হোসেন জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গত ২৮ জানুয়ারী। জেলা প্রশাসক অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বিপিএএ, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামসহ দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদেরকে তদন্তের নির্দেশনা প্রদান করেন। উক্ত কমিটির সদস্যরা ১৮ মার্চ থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করলে তারা অভিযোগের সত্যতা পায়।
সূত্র মতে, নিয়ম নীতি লঙ্ঘন করে নিয়োগ পরীক্ষায় জেলা প্রশাসক এর কোন প্রতিনিধি নিয়োগ পরিক্ষায় রাখা হয়নি। একাধিক জনের সাক্ষাৎকার গ্রহন, প্রার্থীর উপস্থিতি, পরীক্ষার খাতা, নম্বরপত্র যাচাই করে নিদিষ্ট প্রার্থীর সঙ্গে ডামি প্রার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহনের পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অর্থ লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন তদন্ত কমিটি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসক মোঃ নাজমুল আলম বিপিএএ বলেন, তদন্ত শেষে সম্প্রতি প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডিজি প্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে’।