নিজস্ব প্রতিবেদক, বাবলু মিয়া॥ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ৩ নং কুশনা ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির কার্ড নিয়ে চলছে নয় ছয় কান্ড গ্রাহক ভোগান্তি চরমে।
অনুসন্ধানে সারা ইউনিয়ন জুড়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায়। কুশনা ইউনিয়ন এ টিসিবির মোট কার্ডের সংখ্যা (১৫ শত) চলতি বছরের গত নভেম্বর মাসে টিসিবির গ্রাহক পর্যায়ে সকলেই মালামাল উত্তোলনের স্ব স্ব কার্ড নিয়ে কুশনা ইউনিয়ন এ আসেন। টিসিবির মালামাল ক্রয় করে কার্ড চাইলে টিসিবির ডিলার কর্তৃক নিয়োগ কৃত কর্মচারী মোঃ টিটো হোসেন কার্ড কোন গ্রাহকের হাতে দেননি। চলতি ডিসেম্বর মাসে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় টিসিবির মালামাল গ্রাহক পর্যায়ে দেওয়ার কথা শুনে কোন কার্ড গ্রহিতা তাদের নামের কার্ড হাতে পাননি। কার্ড হাতে না পাওয়ায় কার্ডধারীরা তাদের মালামাল উত্তোলন করতে না পারায় শুরু হয় হৈহল্লা। দেখেন তাদের নামের সেই কার্ড কেটে চেয়ারম্যান তার পছন্দের মানুষের নাম বসিয়ে সেই কার্ড অন্য মানুষের হাতে ধরিয়ে টিসিবির মালামাল উত্তোলনের জন্য দিয়ে দিয়েছেন। কার্ডধারীরা তাদের নামের কার্ডে টিসিবির মালামাল উত্তোলনের জন্য আসলে দেখেন তাদের নামের পাশে অন্য নাম বসিয়ে দিয়েছেন। কার্ডধারীরা তাদের মালামাল উত্তোলন করতে না পারায় সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে ফুষে উঠে।
খবর শুনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদে ছুটে আসেন। এসে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে টিসিবির মালামাল দেওয়া সাময়িক বন্ধ করে দেন। উৎসুক টিসিবির কার্ড হয়রানির শিকার মোছাঃ বিলাশী খাতুন স্বামী মৃত আব্দুল মজিদ ৬নং ওয়ার্ড গ্রাম কামারকুন্ডু, মোঃ আকবর আলী গ্রাম মোহনপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মহিউদ্দিন গ্রাম তালসার শ্রী শমির দাস গ্রাম তালসার মোছাঃ আছিয়া খাতুন গ্রাম আলেকদিয়া, মোঃ আবজেল হোসেন মো জাহাঙ্গীর তালসার মোঃ শফিকুল তালসার সহ অনেকেই মাল নিতে এসে গ্রাহক হয়রানির শিকার হয় বলে জানান।
ইউনিয়ন পরিষদের কর্তব্যরত গ্রাম পুলিশ নুরুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান গ্রাহক পর্যায়ে কার্ড দিতে নিষেধ করেছেন। আগে যারা টিসিবির মালামাল পেয়েছে তাদের দেওয়া হবে না।
নতুন কোন কার্ড হচ্ছে কি বা যাদের নামে কার্ড ইস্যু আছে তাদের নাম বাতিল করে অন্য কাউকে দেওয়ার কোন নির্দেশনা আছে কি জানতে চাইলে গ্রাম পুলিশ বলেন, আমি জানিনাএটা চেয়ারম্যান জানেন।
জানতে চাওয়া হয় গ্রাহকের কার্ড থাকবে গ্রাহকের হাতে ইউনিয়ন পরিষদের আলমারিতে বন্দী কেন বলেন, মেম্বার দের কিছু কিছু দিয়েছে বাকি গুলো চেয়ারম্যানের হাতে।আমি কিছু জানিনা চেয়ারম্যান এগুলো কাকে দিবেন।
কথা বলা হয় কুশনা ইউপি চেয়ারম্যান সাহারুজ্জামান সবুজের সাথে। গ্রাহকের টিসিবির কার্ড থাকবে গ্রাহকের নিকট আপনি টিসিবির কার্ড গ্রাহক পর্যায়ে তুলে কাউন্সিল এ গচ্ছিত রেখে গ্রাহক পর্যায়ে হয়রানি বা নাম পরিবর্তন করে অন্যজন কে মালামাল দেওয়ার কোন নির্দেশনা জেলা প্রশাসক, ইউএনও মহোদয়ের কোন আছে কি? চেয়ারম্যান বলেন, না এটা আমি নিজে করেছি অনেকের কার্ড নেই এবং স্লিপ দিতে হয় আমার টিসিবির মালামাল উত্তোলনের জন্য তাই এই পদক্ষেপ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিজেই নিয়েছি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে যাদের নামে কার্ড ছিল তাদের কে পৌঁছে দেব, কিন্তু এবার যা হবার হয়েছে। কার্ডের ঘর পূরণ হতে এখনও বাকি, কি করে পরিবর্তন করার অনুমতি দিলেন পরিষদের চেয়ারম্যান, জনমনে এটাই এখন প্রশ্ন?
চেয়ারম্যান কি তাহলে নিজের পছন্দ সই তার ভোট করা মানুষের মাঝে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা এখন জনমনে পরিস্কার হয়েছে। টিসিবির গ্রাহক হয়রানির বিষয়ে জানতে কোটচাঁদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নিরুপমা রায় কে ফোনে অবহিত করা হলে সহকারী কমিশনার ভূমি নিরুপমা রায় সরোজমিনে তদন্তে আসেন প্রত্যেক টিসিবির যাদের নামে কার্ড ছিল তাদের কার্ড ফেরত দেওয়ার অনুমতি প্রদান করলে উত্তেজিত কার্ডধারীরা শান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
কথা বলা হয় জেলা প্রশাসক মহোদয় মোছাঃ মনিরা বেগম এর সাথে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিসিবির গ্রাহক কার্ড থাকবে গ্রাহকের নিকট এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা করবেন।