নিজস্ব প্রতিবেদক.বাবলু মিয়া॥ পিতা-পুত্রের নামে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। সে কোটচাঁদপুর উপজেলার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নিকট ভুক্তভোগী পরিবারটি এ মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা থেকে অব্যহতি ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
রাঙ্গীয়ারপোতা গ্রামের হাবিবুর রহমান বলেন, জমিটা আলমগীরের কোন কাজে লাগতো না। এ কারনে এতদিন পড়েছিল। ওই সুযোগে তারা জমির মাঝ দিয়ে রাস্তা বানিয়ে ব্যবহার করছিল। এখন তাঁর কাজে লাগছে। এ কারনে জমিটি ঘিরে দিয়েছেন আলমগীর। আর ওই জমিটির উপর দিয়ে কোন সরকারি রাস্তা ছিল না। আমার জানা মতে তাদের সঙ্গে রাস্তা দেবার জন্য প্রতিশ্রুতিও ছিল না। জামাল হোসেন, আলমগীর ও তার ছেলের নামে মিথ্যা মামলা করে শুধুই হয়রানি করছেন।
তিনি আরো বলেন, ভুমি অফিসের নায়েব আদালতে একটা প্রতিবেদনে দাখিল করেছে। তাতে উল্লেখ করেছে ৫০ বছর যাবৎ অন্যান্য লোক জনও চলাচল করতো। সেই সময় যারা চলাচল করতো বা জমির ফসল উঠাতো সেই রাস্তায় বন্ধ করেছে জামালরা পল্টি মুরগীর ঘর তুলে। আলমগীরের কেনা জমির উপর দিয়ে একই পরিবারের তিন ভাই চলাচল ছাড়া অন্য কেউ চলাচল করে না। মাঠের ফসল উঠানোর রাস্তার কথা মামলায় উল্লেখ করেছে। রাস্তা তো বন্ধ ফসল উঠলো কিভাবে? শুধু ওরা ছাড়া অন্য কেউ তো মামলা করলোনা তাহলে।
গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুল হালিম বলেন, জামাল হোসেন, আলমগীরদের কিছুই হয় না। জামাল কুমিল্লার মানুষ। সে এখানে এসে বাড়ি করে বসবাস করছেন। আর আলমগীর হোসেন এখনকার বসতি মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করছেন। এ ছাড়া জামাল হোসেন তাদের কোন শরিকও না। তিনি বলেন, জামাল হোসেন যে রাস্তার জন্য আদালতে মামলা করেছেন। তিনি নিজেই ওই রাস্তা আগেই বন্ধ করেছেন। এখন সে অন্যের জমির উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করে আদালতে মিথ্যা মামলা করে তাদের শুধুমাত্র হয়রানিই করছেন।আর এখানে মামলা করার কি আছে। আদালত তো আর এসে রাস্তা তৈরি করে দেবে না। সামাজিক ভাবে মিমাংসা এর এক মাত্র পথ। আদালত ও সেটাই বলবে আমার নমে হয়।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন বলেন,জামাল হোসেন,বিল্লাল হোসেন ও মিজানুর রহমান একই পরিবারের তিন ভাই। গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে। তারা আমার কেনা জমির মাঝ দিয়ে চলাচলের রাস্তা দাবি করে আসছিল।আমি ওই জমির পাশ দিয়ে, তাদের চলাচলের রাস্তা দিতে রাজি হই। এরপরও তারা কোন কথা না শুনে গায়ের জোরে ওই জমির মাঝ দিয়ে চলাচল করতে থাকে।আমি কোন উপায় না পেয়ে রাস্তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আদালতে আমার ও আমার ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। যাতে করে সামাজিক ভাবে আমাদের সম্মানের হানি ঘটেছে।
জামাল হোসেন মামলায় বলেছেন,আর এস ৮৫ নং খতিয়ানের আর এস ১৩০৭ নং দাগের রাস্তার সমপরিমাণ জমি বিনিময় করিয়া ব্যবহার করছেন। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট কথা।তাদের সঙ্গে এমন কোন চুক্তি আমার সঙ্গে আদৌও ছিল। যা আমি আদালতের নৌটিশের জবাবে আগেই বলেছি। এ ছাড়া তিনি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা কোনটাই সত্য নয়।
এ সব তারা আমাকে হয়রানি করার জন্য করেছেন। বিষয়টির আমি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তব্যক্তিদের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছি।অভিযুক্ত জামাল হোসেন বলেন,ওই রাস্তা সমপরিমাণ জমি আমরা তাকে দিয়ে চলাচল করতাম আগে থেকে।এখন আলমগীর হোসেন আর দিতে চাচ্ছেন না। অনেকবার রাস্তা নিয়ে ওনার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।ওনি রাজি না হওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে আদালতের শরাপন্ন হয়েছি।এ ব্যাপারে এলাঙ্গী ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন,ওই সংক্রান্ত একটা রিপোর্ট দিয়ে ছিলাম। বেশ কিছু দিন তো। আমার ঠিক মনে পড়ছে না,কি দিয়ে ছিলাম। অফিসে আসেন বিস্তারিত দেখে জানাচ্ছি।