মোহাম্মদ জুবাইর॥ সনাতনীদের যেকোন দাবী রক্ষায় সবাইকে ঐকবদ্ধ হতে হবে আকবরশাহ থানা এলাকাধীনে অবস্থিত অতবী প্রাচীন সাধন ভজনের পিঠস্থান খ্যাত গুরুকুল ব্রহ্মচার্য্য আশ্রমের ভক্ত সাধারনের আহ্বানে প্রেস ক্লাবস্থ ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকাধীনে ৩২.০৯ একর উক্ত আশ্রমের দেবোত্তর সম্পত্তি ভূমিগ্রাসীদের জবরদখলের প্রচেষ্টার প্রতিবাদে এবং উক্তরুপ সম্পত্তি রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রামের হিন্দু সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দের উপস্থিততে উন্মুক্ত আলোচনা ও মতবিনিময় সভা আশ্রম পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শ্রী শচীন্দ্র লাল দেবের পৌরহিত্য অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় মুখ্য আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এড. রানা দাশগুপ্ত। আলোচনায় অংশ নেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক এড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ, ট্রাস্টি সুজিত চৌধুরী, হিন্দু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার পরিমল কান্তি চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, লায়ন ডা. আর.কে রুবেল, পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)’র পরিচালনা সদস্য হরি লীলাময় দাস ব্রহ্মচারী, অনন্ত কুমার শর্মা, হিন্দু-বৌদ্ধ-ছাত্র-যুব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ দাশ, কমল চক্রবর্ত্তী, অজয় মিত্র শংকু, কিশোর কুমার পাল, ডা. অপূর্ব ধর, এন্টন দাশ, নারায়ন মহাজন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি সুকুমার মল্লিক, দয়াময় আচার্য্য, পরিতোষ দেবনাথ, যদু কুমার দেবনাথ, এড. নিলু কান্তি দাশ নীলমনি, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য্য, শিবু কুমার শর্মা, নন্দন রায়, নেপাল কান্তি চৌধুরী, রতন কুমার দেবনাথ, সুমন প্রসাদ শর্মা, ডা. নারায়ন চন্দ্র শীল, শুক্লা দাশ, সুবর্ণা ঘোষ, সমীরন পাল। সঞ্চালনার দায়ীত্বে ছিলেন আশ্রম পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক রনজিত সিকদার।
মুখ্য আলোচক রানা দাশগুপ্ত বাংলাদেশে বসবাসরত ২ কোটি সনাতনী সম্প্রাদয়ভুক্ত জনগণ ধর্মীয় উদ্দেশ্য সাধনে এই সম্পত্তির মালিক রূপে জবরদখলকারী ব্যক্তিগনের হাত থেকে রক্ষা করতে একযোগে কাজ করতে হবে। আইন শৃঙ্খলারক্ষায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের উক্ত সম্পত্তি উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে উপস্থিত সংগঠন সমূহের নেতৃবৃন্দ হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সম্পত্তি জবর দখলের প্রচেষ্টায় জড়িত ব্যক্তি ও গোষ্ঠির বিরুদ্ধে হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, উক্ত ধর্মীয় সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করা হলে লক্ষ হিন্দু রাস্তায় নামতে প্রস্তুুত আছে এবং সনাতনীদের যেকোন দাবী রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সভাপতি শচীন্দ্র লাল দে বলেন, আশ্রমের মালিকানাধীন সম্পত্তিতে কাহারো ব্যক্তিগত মালিকানা সৃষ্টির সুযোগ নেই। উক্ত সম্পত্তি ব্যয়, হস্তান্তর, প্রজাপত্তন অযোগ্য। কতেক লোভাতুর ব্যক্তি ও গোষ্ঠী এখতিয়ারহীন ব্যক্তিকে দাঁতা দেখাইয়া অকার্যকর দলিল সৃজনে সফল হবেনা। আলোচনা ও মত বিনিময় পরবর্তী দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষায় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।